একেই বলে প্রবাদ বাক্য সত্যি হওয়া। এ যেন সত্যিই ‘একে রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর’! করোনা প্রকোপের মধ্যেই হাজির সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস। তবে স্বস্তি একটাই, এ ভাইরাস ছড়ায় কম করোনার থেকে। না হলে করোনা এর এই আবহে আরও একবার স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারত সারা বিশ্ব। কারণ, সম্প্রতি কানাডা জানিয়েছে, সোয়াইন এক ধরনের বিরল প্রজাতির ভাইরাস। মানব দেহেই এর খোঁজ মিলছে।
সম্প্রতি কানাডার আলবার্তা প্রদেশের এক বাসিন্দার শরীরে সোয়াইন ফ্লু-র ‘এইচ ১ এন২’ ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে৷ কিন্তু মানুষের দেহে এই ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া যে বেশ বিরল ঘটনা তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জানা গিয়েছে,অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ তাঁর চিকিৎসা শুরু হয় এবং নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে থাকে। সেই সময়েই তাঁর শরীরে এই ভাইরাসের খোঁজ পান ডাক্তাররা। তবে ওই ব্যক্তি এখনও অবধি কারও সংস্পর্শে আসেননি এবং আর কারোর এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার খবর নেই বলে আলবার্তা প্রশাসন জানিয়েছে।
‘এইচ ১ এন ১’ ভাইরাসে মানুষ সাধারণত সংক্রমিত হয়ে থাকেন। কিন্তু ‘এইচ ১ এন ২’ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বিরল গোত্রের৷ গত ১৫ বছরের মধ্যে সারা পৃথিবীতে কেবলমাত্র ২৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ কানাডাতে এই ঘটনা প্রথম। “খাবারের মাধ্যমে ‘এইচ ১ এন২’ ভাইরাস মানব দেহে প্রবেশ করে না৷ অতএব শুয়োরের মাংস খেয়ে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা নেই৷ তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোনও শুয়োরের সংস্পর্শে কেউ এলে তখন ওই ব্যক্তির সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে৷ ” সরকারি আধিকারিকরা একথা জানান।
কীভাবে ওই ব্যক্তি এই ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হলেন তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আশার আলো একটাই সেটা হল, এই ভাইরাস সহজে এক মানব দেহ থেকে অন্য দেহে ছড়ায় না।
Comments are closed.