মোদীর হাতে রাম মন্দিরের ভূমিপুজো, অযোধ্যায় নয়া ইতিহাস টিভিতে দেখবেন আডবাণী-মুরলী মনোহর, করোনা-শঙ্কায় যাচ্ছেন না উমা ভারতীও
সোমবার সকাল ৯ টায় গণেশ মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর ঢাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাঠি পড়ে গেল। আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। ৫ অগাস্ট, বুধবার রাম মন্দিরের ভূমিপুজো করতে প্রথমবার অযোধ্যায় পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রথমে হনুমানগড়ি মন্দিরে যাবেন। সেখানে দু’জনে পুজো দেবেন। সূত্রের খবর, রামভক্ত হনুমানের অনুমতি না নিয়ে রাম মন্দিরের ভূমিপুজো করতে চাননি মোদী। বরাদ্দ সময় ৭ মিনিট। তারপর রওনা হবেন রাম মন্দিরের উদ্দেশে। সেখানে ৪০ কেজি ওজনের একটি রূপোর ইট পাতবেন। বছরের পর বছর ধরে বিজেপির ইশতেহারের অন্যতম একটি প্রতিশ্রুতি, রাম মন্দিরের ভূমিপুজো সারবেন নরেন্দ্র মোদী।
সোমবার অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ হয়। সেখানে নরেন্দ্র মোদী ছাড়া রয়েছে সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নাম। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মূল অনুষ্ঠানে মাত্র ১৫০ লোককে ডাকা হচ্ছে।
এদিকে অমিত শাহের সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়ার পরেই অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন রাম মন্দির আন্দোলনের অন্যতম মুখ উমা ভারতী। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, ভোপাল থেকে অযোধ্যা আসার পথে তিনি করোনা সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসতে পারেন। এই অবস্থায় ভূমিপুজোয় হাজির হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সংক্রমিত করতে চান না। কিন্তু দলের উমা বিরোধী গোষ্ঠীর গুঞ্জন অন্য। তাঁরা বলছেন, আদালতে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলা চলছে। তাতে উমা ভারতী অন্যতম অভিযুক্ত। এই অবস্থায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক ফ্রেমে আসতে চাইছেন না বর্ষীয়ান নেত্রী। করোনা উমার উপকারে এসেছে, বিজেপির অন্দরে চলছে রসিকতা।
তবে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, বিজেপির রাম মন্দির আন্দোলনের সর্বময় নেতা বর্ষীয়ন নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীরও থাকা হচ্ছে না অযোধ্যায়। যাচ্ছেন না সেই সময়ের আর এক দাপুটে নেতা পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলীমনোহর যোশীও। দুজনকেই অবশ্য ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠান দেখানো হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। বাকি ছিলেন উমা ভারতী। করোনা শঙ্কায় নিজেকে সরিয়ে নিলেন তিনিও।
গত বছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয়। মুসলিম পক্ষকে মসজিদ তৈরির জন্য দেয় ৫ একর জমি। তারপর ৫ অগাস্ট ভূমিপুজোর মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে যাচ্ছে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ।
Comments are closed.