ভ্যাকসিন-ভরসায় ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা ভুটানের, টার্গেট দুর্গাপুজো

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চাঙ্গা করতে পর্যটন শিল্পের ওপর জোর দিচ্ছে ভুটান। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আগামী অক্টোবর মাসে পর্যটকদের জন্য খুলে যাবে ভুটানের দ্বার। তবে এই ক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে ভুটান সরকার। বলা হয়েছে আগত পর্যটকদের দুটি ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়া থাকলেই অনুমতি দেওয়া হবে ভুটান ভ্রমণে।

ভুটান সংসদে সেই দেশের বিদেশমন্ত্রী তানদি দোরজি জানিয়েছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে এলেই আগামী পুজো অর্থাৎ অক্টোবরে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হবে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই খুশির হাওয়া ভুটানে বসবাসকারী ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

ইন্দো ভুটান ফ্রেন্ডশিপ আসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাজ বসু জানিয়েছেন, ভুটানের এই সিদ্ধান্তে খুব খুশি। ভবিষ্যতে ভারতকেও একই পথে হাঁটতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বছর মার্চ মাসে কোভিড পরিস্থিতি মারাত্মক হতেই ভুটান সরকার পশ্চিমবঙ্গের জয়গাঁ লাগোয়া ফুন্টসোলিং ও বোরোল্যান্ডের গেলেকু গেট বন্ধ করে দেয়। অসম সংলগ্ন সামদ্রুপজোনখার গেটও বন্ধ করে দেয়। এতেই সমস্যায় পড়েন ব্যবসায়ীরা। জয়গাঁর পরিবহন ব্যবসায়ী মহেশ মোক্তান জানান, গেট না খুলে দিলে আমাদের ভাতে মরতে হবে। কিন্তু এখন যা শুনছি, তাতে পুজোর সময় কিছুটা উপার্জন হবে।

অন্যদিকে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালী ইতিমধ্যেই মে, জুন মাসে হোটেল, গাড়ি বুকিং বাতিল করে তা অক্টোবরে বুকিং করেছেন।

হিমালয়ান ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ঠিক থাকলে পুজোর সময় ভিড় হবে।

এর আগে তাইল্যান্ডে দুটি ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে ভ্রমণে ছাড় দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। এবার ভুটানের এই সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া দার্জিলিং শহরে। পাহাড়ের কোলে বসে, খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থেকে নির্জনতা উপভোগ করতে পাহাড়প্রিয় বাঙালী আবার নতুন পথ দেখছে।

Comments are closed.