CAA: জানুয়ারি থেকেই নাগরিকত্ব পাবেন শরণার্থীরা, একযোগে দাবি কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
আর দেরি নয়। নতুন বছরের শুরু থেকেই শরণার্থীদের নয়া নাগরিকত্ব আইনের আওতায় নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হয়ে যাবে। রেড রোডে আম্বেদকর স্মরণের অনুষ্ঠানে দাবি বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের। একই কথার প্রতিধ্বনি বনগাঁ সফররত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা গজেন্দ্র শেখাওয়াতের গলাতেও।
আইন পাস হলে তা প্রণয়ন করা হচ্ছে না কেন? মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ গিয়ে বারবার এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপি নেতাদের। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে দিলীপ ঘোষ বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শেখাওয়াত, বিজেপির কোনও সভাতেই থাকছেন না বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা ঠাকুর বাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর। ক্ষোভ বাড়ছে মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এই পরিস্থিতিতে দ্রুত আইন প্রণয়নের কথা বিজেপিকে বলতেই হোত।
রবিবার রেড রোডের অনুষ্ঠান থেকে কৈলাস বলেন, সিএএ অনুযায়ী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হয়ে যাবে। অন্যদিকে বনগাঁ সফররত কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত বলেন, আইন তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন রুল ফ্রেমিং চলছে। এক-দেড়মাসের মধ্যেই প্রণয়ন হয়ে যাবে।
সিএএ নিয়ে ক্রমেই চাপ বাড়ছে বিজেপির উপর। এর আগে এনিয়ে নিজের অসন্তোষ জানিয়েছিলেন বনগাঁর বিজেপির সাংসদ তথা ঠাকুর বাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর। কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বকে। ইদানীং বনগাঁ এলাকায় বিজেপির দলীয় সভাতেও দেখা যাচ্ছে না শান্তনুকে। ক’দিন আগে দিলীপ ঘোষের সভাতেও ছিলেন না। আবার রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন বনগাঁ কেন্দ্রে হাজির, তখন শান্তনু ঠাকুর উত্তরবঙ্গে। রাজনৈতিক মহল বলছে, নিজে অনুপস্থিত থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দিচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। সেই চাপ থেকে বেরোতেই কি এক-দেড়মাসের সময়সীমা বেঁধে দিলেন বিজেপি নেতারা। মতুয়াদের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছেন মমতা ব্যানার্জি। মতুয়া উন্নয়ন বোর্ড হচ্ছে। ক’দিনের মধ্যেই বনগাঁতে সভা করতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সভায় কী বলেন মমতা তার দিকে তাকিয়ে বিজেপিও।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে কৃষি আইন নিয়ে যখন অবরুদ্ধ রাজধানী দিল্লি, তখন সিএএ আইন প্রণয়নের ঝুঁকি মোদী-শাহ নেবেন কি? এটাই এখন বড়ো প্রশ্ন।
Comments are closed.