দিলীপ ঘোষের গড়ে বড় ধাক্কা, তৃণমূলে যোগ দিলেন খড়গপুরের বিজেপির চার গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং বেশ কয়েকজন কর্মী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সহকারী হিসেবে কাজ করা বেশ কয়েজজন নেতা বুধবার দুপুরে কলকাতায় এসে যোগ দেন তৃণমূলে। পাশাপাশি, খড়গপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের প্রায় ৫০ জন নেতা-কর্মীও দল ছাড়েন।
তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যাঁরা এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম সজল রায়, অজয় চ্যাটার্জি, শৈলেন্দ্র সিংহ প্রমুখ। বিজেপির বিভিন্ন পদের দায়িত্ব সামলেছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মানুষের একটা অংশ গত লোকসভা ভোটে আমাদের সমর্থন করেননি। এখন তাঁরা আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। বিজেপির ওপর মানুষ আস্থা হারাচ্ছেন, তাই খড়গপুরের উপ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে আশীর্বাদ করেছেন মানুষ।
২০১৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ২৯৪ আসনের মধ্যে মাত্র তিনটি। যার মধ্যে একটি ছিল খড়গপুর। খড়গপুর সদর বিধানসভা আসন থেকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জয় হাসিল করেছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে পশ্চিম মেদিনীপুরজুড়ে বিজেপির সংগঠন পোক্ত করেন দিলীপ। ২০১৯ সালে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপর গত বছরেই খড়গপুরের উপনির্বাচনে হারের মুখ দেখে বিজেপি। এবার রাজ্যে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের দিকে নজর দিয়ে যখন মরিয়া হয়ে প্রচারে নামছে বিজেপি তখন খোদ রাজ্য বিজেপি সভাপতির দূর্গেই বড় ধাক্কা।
এ নিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, খড়গপুরে চুরচুর হয়ে ভেঙে পড়ছে বিজেপির সংগঠন। প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোট সামনে রেখে ঘর গোছাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তৃণমূল শিবির। প্রায় প্রতিদিনই কলকাতা ছাড়াও জেলায় জেলায় বিরোধী নেতা ও কর্মীরা শিবির বদল করে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন। কিছুদিন আগে এই খড়গপুর থেকেই দীর্ঘ ১১ বছর পর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন প্রয়াত সিপিআই সাংসদ নারায়ণ চৌবের পুত্রবধূ ও প্রয়াত তৃণমূল নেতা গৌতম চৌবের স্ত্রী হেমা চৌবে। মহিলা কংগ্রেসের সম্পাদক ছিলেন তিনি। তাঁরই সঙ্গে কংগ্রেসের প্রাক্তন টাউন প্রেসিডেন্ট দেবাংশু গাঙ্গুলিও তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। তবে খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতির গড় থেকে তাঁর সহকারীদের দলবদল নিঃসন্দেহে দিলীপ ঘোষদের কাছে একটা বড় ধাক্কা।
Comments are closed.