বিজেপি সাংসদ আলুওয়ালিয়া কোথায়? থানায় মিসিং ডায়েরি করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূলের কর্মীরা

সাংসদ নিখোঁজ! এলাকায় বহুদিন হল দেখা মিলছে না
বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদের। এমনই অভিযোগ করে
সুরিন্দর সিংহ আলুওয়ালিয়ার নামে থানায় মিসিং ডায়েরি করল তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে দূর্গাপুরের কোকওভেন থানায় বিজেপির প্রবীণ সাংসদ আলুওয়ালিয়া ‘নিখোঁজ’ বলে একটি মিসিং ডায়েরি করেছেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী।
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, দুর্গাপুরে একের পর এক কারখানা ধুঁকছে, কিছু কারখানা বন্ধ। স্থানীয়রা অসহায় হয়ে পড়ছেন। অথচ, যাঁকে এইসব অসুবিধার কথা মানুষ জানাবেন, সেই সাংসদেরই দেখা নেই। এলাকায় শেষ কবে আলুওয়ালিয়াকে দেখা গিয়েছে, তা কেউ বলতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে নাকি তৃণমূল নেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সংঘমিত্রা চৌধুরী দলীয় কর্মীদের পরামর্শ দেন বর্তমান সাংসদের নামে থানায় গিয়ে একটা মিসিং ডায়েরি করে আসতে। তাঁর পরামর্শমাফিক সেই কাজটিই সেরে ফেলেন তৃণমূল কর্মীরা। তার আগে থানার বাইরে সাংসদ ‘নিখোঁজের’ কারণে বিক্ষোভও দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
এদিকে বিজেপি নেতৃত্বের পালটা অভিযোগ, মানুষের কোনও কাজে লাগেননি বলেই গত লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। বিজেপি সাংসদ অনেক কাজ করছেন। কিন্তু তা আড়াল করে অপপ্রচারে ব্যস্ত রাজ্যের শাসক দল। তাঁদের দাবি, এলাকায় রেলের ওভারব্রিজ ভাঙার প্রতিবাদ করে গত সেপ্টেম্বর মাসেই খোদ রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন দুর্গাপুর-বর্ধমানের বিজেপি সাংসদ। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, ওটুকু কাজ চাপে পড়েই করেছেন তিনি। কারণ, কয়েকমাস আগে বর্ধমান রেল স্টেশন ভবনের সামনের একটি অংশ ভেঙে এক জন মারা যান। সেসময় রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সহ বর্ধমান শহরের প্রথম সারির তৃণমূল নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময়ও দেখা মেলেনি এলাকার সাংসদের। তারপর আবার পুরোনো রেল ব্রিজ ভাঙার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে আন্দোলন শুরু করেছে বামপন্থী হকার সংগঠন ও বর্ধমান শহর তণমূল। তাদের বক্তব্য, ওই ব্রিজ ভাঙার জন্য উচ্ছেদ করা হবে বহু ব্যবসায়ীকে। এমনিতেই চলতি বছর ব্যবসায় মন্দা। তার উপর পুজোর মুখে এমন সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না বলে তারা জানিয়ে দেয়। এই যখন পরিস্থিতি, তখন নাকি খানিকটা বাধ্য হয়ে বিজেপি সাংসদ হয়েও রেলের মতো কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছেন আলুওয়ালিয়া।

Comments are closed.