বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, মিছিল থেকে বন্দুক সহ গ্রেফতার, পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ, দেখুন ফটো গ্যালারি
৭ দফা দাবিতে বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতরকে কেন্দ্র করে চারদিক থেকে আসা বিজেপির মিছিল আটকাতে জল কামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। লোহা ও স্টিলের গার্ডরেল দিয়ে বন্ধ ছিল নবান্নমুখী সমস্ত রাস্তা।
বেকারদের চাকরির দাবি সহ ৭ দফা দাবিতে ৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। এই উপলক্ষে শহরে এসেছিলেন সদ্য যুব মোর্চার সভাপতি হওয়া বিতর্কিত সাংসদ তেজস্বী সূর্য। হাওড়া ময়দান থেকে তাঁর ও সৌমিত্র খাঁয়ের নেতৃত্বে একটি মিছিল এগোয় নবান্ন অভিমুখে। অন্যদিকে রাজ্য সদর দফতর থেকে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে একটি মিছিল বেরোয়। হেস্টিংস থেকে মিছিলে দেখা যায় লকেট চ্যাটার্জি, মুকুল রায় প্রমুখদের। সাঁতরাগাছির মিছিলের নেতৃত্ব ছিল রাজু ব্যানার্জি এবং সায়ন্তন ঘোষের। কিন্তু কোনও মিছিলকেই নবান্নের ত্রিসীমানায় ঘেষতে দেয়নি পুলিশ।
হাওড়া ময়দান এলাকায় সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় এক বিজেপি কর্মীর পকেট থেকে ম্যাগাজিন ভরা বন্দুক পড়ে যায়। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। দিলীপ ঘোষের দাবি, ওই বন্দুকের লাইসেন্স আছে। বিজেপির বিরুদ্ধে নবান্ন অভিযানে বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পুলিশ লাঠিপেটা করে মাটিতে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির মিছিল আটকাতে রঙিন জলের ব্যবহার করেছিল পুলিশ। বিজেপি নেতা রাজু ব্যানার্জি জলের তোড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়াও আহত হয়েছেন একাধিক বিজেপি নেতা নেত্রী। হাওড়া ও কলকাতা থেকে পুলিশ মোট ১১৩ জনকে আটক করেছে বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপির অভিযানের সময় অবশ্য বন্ধ ছিল নবান্ন। সেই ফাঁকা নবান্ন লক্ষ্য করেই অভিযান শুরু করে বিজেপি। যার জেরে এক সময় কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল মধ্য কলকাতার যান চলাচল। দুর্ভোগের শিকার সাধারণ মানুষ।
Comments are closed.