বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রয়োজন নেই। কারণ মাত্র ১৫০ দিন পর বদলে যাচ্ছে সরকার। বাংলায় এসে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে বঙ্গ বিজেপির একাংশের রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি তাতে অক্সিজেন যোগায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য। শাহের কাছেও বঙ্গ বিজেপির নেতারা একাধিকবার একই ইস্যুতে দরবার করেছেন। রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা ভাবছে না তাঁর মন্ত্রক। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, এপ্রিলের পরই রাজ্যে মমতা সরকারকে উৎখাত করে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে।
পাশাপাশি জল্পনায় জল ঢেলে মোদীর ডেপুটি জানিয়ে দেন, বাংলার ভোটে কোনও মুখ্য মন্ত্রীর মুখ তুলে না ধরে লড়াইয়ে যাবে বিজেপি। সৌরভ গাঙ্গুলি ও শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। তারপরই অমিত শাহের ইঙ্গিতপূর্ণ সংযোজন, শুধু ওই দুজন কেন, তালিকা অনেকটাই বড়ো। রাজ্যপালের সঙ্গে নবান্নের সম্পর্ক নিয়েও মমতা সরকারকে বিঁধতে ছাড়েননি অমিত শাহ। রাজ্যপাল নিজের সাংবিধানিক এক্তিয়ারের মধ্যে কাজ করছেন। তাঁর উদ্দেশে রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের প্রধানের কটূ বাক্য প্রয়োগ অনুচিত। শুনলাম, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে দার্জিলিংয়ের ডিএমকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একে কীভাবে জাস্টিফাই করবেন দিদি? প্রশ্ন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর।
রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের উপর পুলিশ ও তৃণমূলের সিন্ডিকেট বাহিনী অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে, আইন শৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতির অভিযোগ করে মুখ্য মন্ত্রীকে অমিত শাহের challenge, রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। কত খুন, কত এফআইআর, কাদের নাম চার্জশিটে দেখুক মানুষ।
মুখ্য মন্ত্রীকে শ্বেত পত্র প্রকাশের দাবি অমিত শাহের
Comments are closed.