রবিবার রাজ্যে আসছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ঘূর্ণিঝড় যশ বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখবেন তাঁরা। ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির পরিদর্শন করবে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল।
যশের দাপটে মূলত পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগণার বিস্তীর্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দিঘা, মন্দারমণি, সুন্দরবন, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা, সাগর প্রভৃতি ঘুরে দেখার কথা।
জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের একটি দল দিঘা, মন্দারমণি যাবে। অন্য দলটি সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকায় সরেজমিনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখবে।
এলাকা পরিদর্শন শেষে নবান্নে রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় দল। বৈঠক শেষে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রে পাঠাবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা।
যশ ও ভরা কোটালের জেরে রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির একটি বিস্তারিত রিপোর্ট কলাইকুন্ডার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির একটি হিসেব প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন।
কলাইকুন্ডায় বৈঠক শেষে যশ বিধ্বস্ত তিন রাজ্যের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকা।
যশের ক্ষতিপূরণ এবং পর্যালোচনা বৈঠক নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত চরমে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার অভিযোগ করেন রাজ্যের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠক ঘিরে প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন ব্যানার্জিকে নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যের তরজা জাতীয় রাজনীতির ইস্যু হয়ে ওঠে।
এই আবহে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির দলের রাজ্য সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমুল নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ্য করে ঘাসফুল শিবিরের আক্রমণ, কথায় কথায় প্ৰতিনিধি দল না পাঠিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে মোদী সরকারের উচিত রাজ্যের মানুষের জন্য কিছু ভ্যাকসিন পাঠানো।
Comments are closed.