প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে চলেছেন রাজ্যপাল ধনখড়। যত নির্বাচন এগিয়ে আসছে, ততই যেন অতিসক্রিয় হয়ে উঠছেন রাজ্যপাল। ফের তাঁকে কড়া চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে তাঁর এক্তিয়ার মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সম্প্রতি ডিজি বীরেন্দ্রকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। শনিবার কড়া চিঠি দিয়ে ধনখড়কে মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিলেন, কারণে-অকারণে রাজ্য প্রশাসনের কাজ নিয়ে ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ করা বা শীর্ষ আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো রাজ্যপালের কাজ নয়! রাজ্যপাল বারেবারেই নিজের সাংবিধানিক এক্তিয়ার ছাড়াচ্ছেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ।
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, আমি দুঃখিত, মর্মাহত আপনার ভূমিকা দেখে। আপনি রাষ্ট্রপতির নিযুক্ত একজন প্রতিনিধি মাত্র। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে ফের মনে করিয়েছেন, তিনি রাজ্যের নির্বাচিত প্রধান। রাজ্যপাল যেভাবে কথায়-কথায় রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে পুলিশই তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠাচ্ছেন এবং তা নিয়ে প্রকাশ্য ট্যুইট করছেন তা রীতিমতো অনভিপ্রেত।
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, সাংবিধানিক প্রধান হয়ে আপনি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব কাঁধে নেবেন না।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী ফের ধনখড়কে মনে করিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আবার আপনার প্রতি অনুরোধ, সংবিধানের গণ্ডির মধ্যে থাকুন। কোনও রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব কাঁধে নেবেন না। নির্বাচিত সরকার ও তার মন্ত্রিসভাকে হেয় প্রতিপন্ন করে নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দেবেন না!
মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, রাজ্যপালের পদ থেকে প্রতিনিয়ত পুলিশ-প্রশাসনকে হেয় করা হলে সাধারণ মানুষও বিভ্রান্ত হন এবং তাতে হানাহানি বাড়তে পারে। ধনখড়ের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, রাজ্যপালের অভিযোগের পক্ষে কোনও তথ্য থাকলে জনস্বার্থেই তা প্রশাসনের কাছে জানানো উচিত।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসার পরে শনিবার রাতেই ফের টুইটে করেছেন রাজ্যপাল ধনখড়। লিখেছেন, তিনবার অনুরোধের পরেও ডিজি আসেননি। সাংবিধানিকতা এমন আচরণের কথাই বলে? মুখ্যমন্ত্রী সঠিক পরামর্শ পাচ্ছেন তো?
Comments are closed.