নবান্ন অভিযানে ব্যবহৃত জলকামানের জলে করোনা মেশানো ছিল! দাবি সৌমিত্র খাঁর, অমিত শাহকে চিঠি লকেটের

গত সপ্তাহে বিজেপির নবান্ন অভিযানের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এখনও চলছে রাজনৈতিক তরজা। এবার পুলিশের জলকামানে ব্যবহৃত জলে করোনাভাইরাস ছিল বলে নয়া দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণুপুরের সাংসদের দাবি, তাঁদের কর্মী সমর্থকদের উপর জলকামান দাগার পরে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই মর্মে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠিও দিয়েছে বিজেপি। আর এক বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জিও জলকামানে ব্যবহৃত রং নিয়ে সরব হয়েছেন। তিনি চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে। বিজেপি সাংসদের দাবি, জলকামানের জলে কোন ধরনের রং ব্যবহার করা হয়েছিল, তা রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট চান অমিত শাহ।

গত ৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার কয়েক দফা দাবি নিয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক তাতে শামিল হন। তবে অতিমারি পরিস্থিতিতে এই মিছিলের বিরোধিতা করে রাজ্য প্রশাসন। হাওড়া, কলকাতা মিলিয়ে বিজেপি যে চারটি মিছিল নিয়ে বেরোয় তার পালটা হিসেবে জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড করে পুলিশ প্রশাসন। সাঁতরাগাছিতে প্রথম পুলিশ ব্যারিকেডটি ভাঙার চেষ্টা করলে মিছিলকারীদের বাধা দিতে গিয়ে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ওই জলে বেগুনি রং মেশানো ছিল। যা নিয়ে মুখ্য সচিব আলাপন ব্যানার্জি আগেই জানিয়েছেন, ব্যারিকেড ভাঙচুরের চেষ্টাকারীদের শনাক্ত করতেই জলের সঙ্গে হোলির রং মেশানো ছিল। তবে সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, ওই মিছিলের পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাদের একাধিক নেতা-কর্মী। সৌমিত্র খাঁয়ের অভিযোগ, জলকামানের জলের সঙ্গে করোনা ভাইরাস মেশানো ছিল। সে কারণেই নবান্ন অভিযানে পা মেলানো অনেকেই করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন। তবে সৌমিত্রর দাবি নিয়ে কেউ কেউ মশকরাও শুরু করেছেন। এভাবে কী সত্যিই করোনাভাইরাসে কেউ সংক্রমিত হতে পারেন, বিভিন্ন মহলে উঠছে সেই প্রশ্ন।

 

Comments are closed.