রামদেব এবং তাঁর সঙ্গী বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের। বিহারের মুজফফরপুরের আদালতে এই মামলা করেছেন সমাজকর্মী তামান্না হাশমি।
করোনা নিরাময়ের ওষুধ তৈরির দাবি করে রামদেব এবং বালকৃষ্ণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভুল পথে চালিত করছেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা চলছে, এই অভিযোগ করে বিহারের আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন তামান্না হাশমি। ৩০ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।
মামলায় রামদেবকে পতঞ্জলি রিসার্চ ইন্সস্টিটিউটের আহ্বায়ক এবং বালকৃষ্ণকে সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করে মুখ্য অভিযুক্ত বলা হয়েছে। হাশমি আদালতকে জানিয়েছেন, রামদেব ও বালকৃষ্ণ কোভিড ১৯ ১০০ শতাংশ নিরাময়ের দাবি করে করোনিল ওষুধ প্রচার করছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যে। আবেদনে আয়ুষ মন্ত্রকের তরফে যে কনোনিল বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তারও উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি তামান্না হাশমি রামদেবকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, ওই ওষুধটি তৈরিতে পতঞ্জলি রিসার্চ সেন্টারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে জয়পুরের বেসরকারি ন্যাশনাল ইন্সস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স। হাশমির প্রশ্ন, একটি বেসরকারি সংস্থা কীভাবে নামের আগে ন্যাশনাল বা জাতীয় কথাটি ব্যবহার করতে পারে?
আবেদনকারীর আর্জি ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রতারণা এবং অনৈতিকতা সংক্রান্ত ৪২০ ধারা, ১২০বি এবং ২৭০ ধারায় যেন রামদেব ও বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে মামলা চালানো হয়।
Comments are closed.