দুপুর ১ টা: সাগর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে বুলবুল, আছড়ে পড়বে সন্ধের পর, সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস

সাগর থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। কলকাতা থেকে দুরত্ব ২০০ কিলোমিটারের সামান্য বেশি। শনিবার সন্ধের পর কিংবা রাতে তা আছড়ে পড়তে পারে সাগরদ্বীপ সংলগ্ন ভূপৃষ্ঠে। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত। তবে কোথাও কোথাও ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।

পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী। নবান্নের কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত সমস্ত প্রশাসনিক কর্তারা। বুলবুলের প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বিকেলের পর থেকে বাড়তে পারে হাওয়ার বেগ। আগামী ৪৮ ঘণ্টা এই এলাকায় বৃষ্টি হবে।

দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার সমুদ্র সংলগ্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি ইতিমধ্যেই ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইছে। সমুদ্রে শুরু হয়েছে জলোচ্ছ্বাস। ২০০৯ সালের আয়লার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে সমুদ্র সংলগ্ন এলাকা থেকে বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর সৈকতে সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল আগেই। সাধারণ মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনের তরফে চলছে মাইকিং।

এদিকে বুলবুলের ভয়ে শনিবার সকাল থেকেই কার্যত শুনশান কলকাতার রাজপথ সঙ্গে দোসর বৃষ্টি। গাড়ি ঘোড়া কম, বন্ধ দোকানপাট। স্কুল, কলেজেও ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না।

 

 

বুলবুলের প্রভাবে ওড়িশাতেও প্রবল বৃষ্টি চলছে সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। ভদ্রক, বালাসোর, জগতসিংপুর এবং কেন্দ্রাপাড়া জেলায় বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঝড়ের দাপটে উপরে পড়েছে বহু গাছ। উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

Comments are closed.