Delhi Violence: ১৯৮৪ সালের মতো দাঙ্গা বরদাস্ত করব না, কেন্দ্র ও দিল্লির সরকারকে কড়া ভর্ৎসনা দিল্লি হাইকোর্টের

১৯৮৪ সালের মতো আর একটা দাঙ্গা পরিস্থিতি বরদাস্ত করব না বলে দিল্লির হিংসা নিয়ে মন্তব্য করলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর। সিএএ-র সমর্থক ও বিরোধীদের সংঘর্ষে চারদিন ধরে উত্তপ্ত দিল্লি। বুধবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১, আহত প্রায় ২৫০ জন। অঙ্কিত শর্মা নামে এক গোয়েন্দা অফিসারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে চাঁদ বাগের একটি নালা থেকে। এই প্রেক্ষিতে বুধবার কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে কড়া বার্তা দিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, যে ভাবে হিংসা বাড়ছে দেশের রাজধানীতে তা বন্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিচারপতি মুরলীধর বলেন, ১৯৮৪ সালের দাঙ্গার মতো আরও একটি পরিবেশ তৈরি করতে দেওয়া যাবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণে তা হতেই দেওয়া যাবে না। একজন আইবি অফিসারের মৃত্যুর খবর পেয়েছি, তা দুর্ভাগ্যজনক। অবিলম্বে এই হিংসা বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে আদালত আরও জানায়, এটাই সেই সময় যেখানে দেখাতে হবে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা সবার জন্য আছে।
এদিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বিচারপতি মুরলিধরের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ দিল্লির হিংসা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি করে। হিংসায় আহতদের যথাযথ চিকিৎসার সুযোগ পাওয়ার পিটিশন দাখিল হয় আদালতে। দিল্লি পুলিশকে এ ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট এবং আহতদের চিকিৎসা-সহ তাদের নিয়ে একটি সম্পূর্ণ রিপোর্ট চাওয়া হয়। পাশাপাশি হিংসায় মৃতদের শেষযাত্রা সুষ্ঠুভাবে করারও কথা বলে আদালত।
এদিন শুনানির শুরুতেই দিল্লি পুলিশের এক কর্তাকে ভর্ৎসনা করে দিল্লি হাইকোর্ট। বিজেপি নেতা কপিল শর্মার উস্কানিমূলক বার্তার ভিডিয়ো ক্লিপ তিনি দেখেননি বলে জানানোয় আদালতেই সেই ভিডিয়ো ক্লিপ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতাকে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েক যেন উস্কানিমূলক মন্তব্য করা বিজেপি নেতা ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। সেই সঙ্গে দিল্লি পুলিশ আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে হিংসা ঠেকাতে নিজে থেকেই উদ্যোগ নিতে পারত বলে মন্তব্য করে দিল্লি হাইকোর্ট।

Comments are closed.