দিনের আলোয় গণতন্ত্রের হত্যালীলা চলছে, জয় না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই জারি, সংসদ কাণ্ডে আক্রমণাত্মক ডেরেক ও’ব্রায়েন
দিনের আলোয় গণতন্ত্র হত্যা হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত লড়াই জারি থাকবে। কৃষি বিল নিয়ে বিরোধী সাংসদরা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
মঙ্গলবার ডেরেক জানান, কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, জেডিএস, সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা ১৭ টি বিরোধী দল কৃষি বিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে পিটিশন জমা করবেন। তিনি যাতে এই বিলে সম্মতি না দেন সেই আবেদন থাকবে। আগামী বুধবার বৈঠকের পর তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির হবে বলে জানান ডেরেক।
ডেরেকের কথায়, এই বিল কৃষক-বিরোধী, গণতন্ত্র বিরোধী। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে বিলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দেন।
জোর করে ‘কৃষি বিল পাশ এবং বেআইনিভাবে সাসপেন্ড করার অভিযোগে সোমবার রাতভর সংসদের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছিলেন ডেরেক সহ রাজ্যসভার আট সাংসদ। এদিন সকালে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ চা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের কাছে। যদিও তা ফিরিয়ে দেন ক্ষুব্ধ সাংসদেরা। এ নিয়ে ডেরেক বলেন, কৃষকরা সুবিচার চাইছে আর আপনি ক্যামেরাম্যান নিয়ে চা দিতে এসেছেন? ছেলেখেলা হচ্ছে? রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, যদি ব্যক্তিগতভাবে সৌজন্য দেখিয়ে চা নিয়ে আসতেন, তাহলে সঙ্গে ক্যামেরাম্যান থাকত না। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানকে তোতাপাখি বলেও আক্রমণ করেন ডেরেক। তাঁর দাবি, বিরোধী শূন্য রাজ্যসভায় মঙ্গলবার যে কয়েকটি বিল পাশ হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ছিলেন সাসপেন্ড হওয়া ৮ সাংসদের চারজন। এভাবেই দিনের আলোয় গণতন্ত্রের হত্যা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ডেরেক। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে যে রুল বুক ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে তা নস্যাৎ করে ডেরেক ওব্রায়েন দাবি করেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। এছাড়া সংসদ অধিবেশনের ছবি ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া নিয়ে ডেরেকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে সাংসদের প্রতিক্রিয়া, ‘বেশ করেছি’। তাঁর কথায়, একটি সরকারি ও একটি প্রাইভেট চ্যানেল ছাড়া করোনার কারণে সংবাদমাধ্যমকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না সংসদে। দেশের মানুষকে সত্যি জানানোর জন্য তিনি আবারও মোবাইলে রেকর্ড করবেন বলে মন্তব্য করেন। আমাকে সাসপেন্ড করতে পারেন কিন্তু আমার কণ্ঠরোধ করতে পারবেন না, বলেন তিনি।
মঙ্গলবার বিরোধীরা চলতি অধিবেশনের জন্য রাজ্যসভা ও লোকসভা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
Comments are closed.