নানুর থেকে কেতুগ্রাম, আসানসোল থেকে বহরমপুর, বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট

দেশ জুড়ে চলছে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। সকাল থেকেই বীরভূমের নানুর, আসানসোল, বহরমপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত গোলমালের খবর পাওয়া গিয়েছে। বহরমপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত একটি বুথে কংগ্রেসের এজেন্টদের বের করে দিয়ে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ পেয়েই ছুটে আসেন প্রার্থী অধীর চৌধুরী। অন্যদিকে আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। পাল্টা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। বাবুল অবশ্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পূর্ব বর্ধমান কেন্দ্রের কেতুগ্রামে প্রিসাইডিং অফিসারের উপস্থিতিতে ইভিএমের সামনে একাধিক লোকের ভিড় দেখা যায়, অভিযোগ উঠেছে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার। বীরভূমের ময়ুরেশ্বরে বুথের ভেতরে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগ ওঠে বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশন তাঁকে শো-কজ করে। বর্ধমান-দুর্গাপুরের জেমুয়ায় ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে বিরোধীরা। পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। আসানসোলের জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠ স্কুলের বুথের বাইরে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অশান্তির করার অভিযোগ তুলে বাবুল বলেন, আসানসোলের বেশিরভাগ বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। নলহাটি থেকেও গোলমালের খবর আসছে। এই পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গের আট কেন্দ্র- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম ও বোলপুরে ভোট হচ্ছে। চতুর্থ দফায় দেশের ৭১ টি কেন্দ্রে ভোট চলছে।

Comments are closed.