কাশ্মীরে খর্ব হচ্ছে গণতান্ত্রিক অধিকার, ব্যাহত জনজীবন, কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন আইআইটি’র শিক্ষক, পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীরা

গত ৫ ই অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে বিশেষ মর্যাদা সরিয়ে নিয়েছে কেন্দ্র। তারপর থেকেই ‘ভার্চুয়াল লকডাউন’ হয়ে গিয়েছে উপত্যকা। উপত্যকাবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হচ্ছে এবং কাশ্মীরিদের প্রতি নির্দয়তার অভিযোগ করে কেন্দ্রকে এবার খোলা চিঠি দিলেন দেশের একাধিক আইআইটির মোট ১৩২ জন শিক্ষক, পড়ুয়া এবং প্রাক্তনী।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, গত দু’মাস ধরে কাশ্মীর উপত্যকার ৮০ লক্ষ মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। মোবাইল ফোন থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ। উপত্যকা থেকে খবর বেরতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের বিবৃতিগুলিই বারবার প্রকাশ করে চলেছে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া। কিন্তু সত্যিকারের কোনও তথ্যকে পুরোপুরি আটকে দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে, গত দু’মাস ধরে উপত্যকায় প্রতিবাদ ও হিংসার ছবি দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলি। গ্রেফতারি, অত্যাচার আর এনকাউন্টারে অশান্ত জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কে সরকার ভুল তথ্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে চিঠিতে।
চিঠিতে আরও লেখা হয়, কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতারি, জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার অবস্থা, দেশের বিভিন্ন কলেজ ক্যাম্পাসে কাশ্মীরি পড়ুয়াদের নির্যাতনের ঘটনা যে কেন্দ্রের জোর করে বলা উপত্যকা ‘শান্ত’, এই ঘোষণার থেকে আলাদা, তা পরিষ্কার। আইআইটির পড়ুয়া ও শিক্ষকদের অভিযোগ, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্দেশে উপত্যকা থেকে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে সমাজকে অশুভ সংকেত দেওয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশে এমন পদক্ষেপ একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয় বলে কেন্দ্রকে পাঠানো ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কলেজ ক্যাম্পাস থেকে রাস্তায় মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে সংকুচিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। চিঠির সবশেষে লেখা হয়েছে, উপত্যকায় যোগাযোগ পরিষেবার উন্নতি, বন্দি হওয়া রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি এবং জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের সমস্যা সমাধানের জন্য যাঁরা চেষ্টা করছেন তাঁদের প্রতি সরকারের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।

Comments are closed.