১৩ মে শীতলকুচি যাচ্ছেন রাজ্যপাল, জানালেন ট্যুইট করে

শীতলকুচির পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখতে চান তিনি

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ট্যুইট করে জানান, আগামী ১৩ মে বিএসএফের হেলিকপ্টারে করে তিনি শীতলকুচি যাবেন।

সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, শীতলকুচির পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখতে চান তিনি। ওই ট্যুইটেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে মেনশন করেন।

১০ এপ্রিল ভোট চলাকালীন কোচবিহারের শীতলকুচিতে ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান চার স্থানীয় বাসিন্দা। আবার অন্য একটি ঘটনায় ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আনন্দ বর্মন নামে এক তরুণের। আনন্দ এই প্রথমবার ভোট দিতে এসেছিল। অভিযোগ তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে আনন্দর।

জোড়া ঘটনার জেরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ওঠে। ইতিমধ্যেই শীতলকুচিতে নিহতদের পরিবারের জন্য চাকরি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
নির্বাচন মিটলেও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক চাপানউতোরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

বিজেপির দাবি ভোটের ফল প্রকাশের পর জায়গায় জায়গায় তাদের কর্মী সমর্থকদের উপর আক্রমণ করছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্বও একই অভিযোগ এনেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে।

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মমতা। হাইকোর্ট হিংসা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেছে।

রাজ্যপালের শীতলকুচি যাওয়ার ঘটনার কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, রাজ্যপাল তাঁর এক্তিয়ার বর্হিভুত কাজ করছেন। শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিনা প্ররোচনায় গণ হত্যা করেছে ,রাজ্য সরকার ক্ষমতায় এসেই তার তদন্ত শুরু করেছে।

তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, রাজ্যপাল ধনখড় তাঁর ট্যুইটে স্পষ্ট লিখে দিয়েছেন ভোট পরবর্তী হিংসা কবলিত এলাকাতেই তিনি যাবেন। ঘটনাচক্রে শীতলকুচিতে ভোট চলাকালীন যেমন হিংসার ঘটনা ঘটেছে ঠিক তেমনই ভোটের ফল প্রকাশের পরও গোলমালের অভিযোগ উঠেছে। তাই এবারের সফরে ভোটের দিন মৃত ৫ জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন কি রাজ্যপাল? স্পষ্ট নয়।

Comments are closed.