২০১৪ সালে ৭০ হাজার ভোটে জেতা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস হারলেন প্রায় ১৬ হাজার ভোটে, হারলেন আরও ২ মন্ত্রী
৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম-কংগ্রেস জোটের কাছে পর্যুদস্ত বিজেপিকে সন্তুষ্ট থাকতে হল মাত্র ২৫ টি আসন নিয়েই (Ministers Defeated)। জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি জোট পেয়েছে ৪৭ টি আসন। কংগ্রেস একা পেয়েছে ১৬ টি এবং জেএমএম ৩০ টি, আরজেডি পেয়েছে একটি ।
২০১৪ সালে যে জামশেদপুর পূর্ব কেন্দ্র থেকে ৭০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস, সেখানেই তিনি এবার হেরেছেন ১৫ হাজার ৮৩৩ ভোটে। রঘুবরের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা সরযূ রাইয়ের ওই কেন্দ্রে প্রাপ্ত ভোট ৭৩ হাজার ৯৪৫। আর মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস পেয়েছেন ৫৮ হাজার ১১২ টি ভোট। প্রসঙ্গত, এই জামশেদপুর পূর্ব কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়তে চেয়েই সরযূ রাই ও রঘুবর দাসের মধ্যে মনোমালিন্য চরমে ওঠে। শেষে ওই আসন থেকেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়েন সরযূ রাই।
এদিকে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি আন্দোলনের আবহে ঝাড়খণ্ডে আরও কয়েকজন বিজেপির মন্ত্রী হেরেছেন (Ministers Defeated)। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতা ও কংগ্রেস জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হেমন্ত সোরেন বিজেপি প্রার্থী সিমন মালটোকে ২৫ হাজার ৭৪০ ভোটে পরাজিত করেছেন। বারহাইতি কেন্দ্র থেকে হেমন্ত সোরেন পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৭২৫ টি ভোট এবং বিজেপি প্রার্থী সিমন আটকে গিয়েছেন ৪৭ হাজার ৯৩৯ ভোটে। অন্যদিকে, দুমকা বিধানসভা কেন্দ্রেও বিজেপি প্রার্থী তথা ঝাড়খণ্ড মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী লুইস মারান্ডিকে ১৩ হাজার ১৮ ভোটে হারিয়েছেন হেমন্ত সোরেন। এই কেন্দ্রে বিজেপির মন্ত্রী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫৭১ টি ভোট। হেমন্ত সোরেন পান ৮০ হাজার ৫৮৯ টি ভোট। রঘুবর মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য জিতেছেন বটে। তবে তাঁদের জয়ের মার্জিন খুবই কম। কেউ ১২০০, কেউ ১৫০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।
ঝাড়খণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৯ বার প্রচার করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গিয়েছেন ১২ বার।
গত লোকসভায় ঝাড়খণ্ডে ১৪ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ১১ টি আসন।
Comments are closed.