বিশ্বের প্রথম ১০০ বিজ্ঞানের শহরের তালিকায় ঢুকে পড়ল কলকাতা। Nature Index Ranking এ বিজ্ঞান শহরের (science cities) প্রথম একশোর তালিকায় এবার ভারতের মাত্র দুটি শহর স্থান পেয়েছে। একটি বেঙ্গালুরু, অন্যটি কলকাতা।
বিজ্ঞান চর্চা এবং তার প্রয়োগে কোন শহর কত এগিয়ে, তা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে থাকে নেচার ইনডেক্স (Nature Index)। করোনা পরিস্থিতিতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
৫৮ জন ন্যাচারাল সায়েন্সের গবেষকদের দ্বারা বিবেচিত ৮২ টি জার্নালের রিপোর্ট এবং বিশ্বব্যাপী ৬ হাজারের বেশি বিজ্ঞানীর মতামতের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে এই ‘সায়েন্স সিটিজ’- এর তালিকা। আর তাতে এবার দেখা গেল, বিশ্বের বহু বিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ শহরকে পিছনে ফেলে বিজ্ঞান শহরের প্রথম ১০০ এর তালিকায় ঢুকে পড়েছে ‘সিটি অফ জয়’ কলকাতা।
সমীক্ষা বলছে, বিজ্ঞানমনস্ক শহরের তালিকায় ১২১ থেকে অন্যান্যদের পিছনে ফেলে কলকাতা উঠে এসেছে ৯৯ নম্বরে। প্রথম একশোর মধ্যে বেঙ্গালুরু থাকলেও গত বছরের চেয়ে এই তালিকায় চার ধাপ নীচে নেমেছে তারা। বিজ্ঞান শহরের তালিকায় গতবার বেঙ্গালুরু ছিল ৯৩ নম্বরে। এবার পিছিয়ে ৯৭ এ চলে এসেছে ভারতের আইটি রাজধানী। বিশ্বের প্রথম ১০০ ‘সায়েন্স সিটিজ’ এর তালিকার শীর্ষে রয়েছে বেজিং, বোস্টন, নিউ ইয়র্কের মতো শহর।
অনেকের মতে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কলকাতাবাসীর দৈনন্দিন জীবন বেশ কিছুটা পালটেছে। বাইরে না বেরনোর ফলে ঘরে বসেই ইন্টারনেটে বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে আগ্রহী হয়েছেন প্রবীণরাও। বন্ধুত্ব হয়েছে প্রযুক্তির সঙ্গে। বিজ্ঞানচর্চা এবং প্রয়োগের পরিসর বেড়েছে। তাই বিশ্বের বিজ্ঞান-শহরের তালিকায় শহর কলকাতার এই উত্থান। কিন্তু এই তালিকায় কীভাবে দেশের আইটি শহর হিসেবে পরিচিত বেঙ্গালুরু পিছিয়ে গেল তাতে অনেকে বিস্মিত। এই ‘সায়েন্স সিটিজ’ এর প্রথম ২০০ এর মধ্যে অবশ্য ভারতের আরও দুটি শহর আছে, মুম্বই এবং দিল্লি।
Comments are closed.