ছুটিই ছুটি, একটু এদিক ওদিক করে সিএল নিলে এবছর অন্তত ১৪ দফায় মিলবে বেড়ানোর সুযোগ

দশটা-পাঁচটার চাকরি করে একঘেয়ে জীবন। কোথাও ঘুরে আসতে মন চাইছে কিন্তু ওই যে, ছুটিছাটার অভাব। অগত্যা টিফিন বক্স আর অফিস ব্যাগ কাঁধে নিয়ে অফিস রওনাই যেন ভবিতব্য। কিন্তু না, ২০২০ সালের ক্যালেন্ডার আপনাকে দিচ্ছে সেই ছুটি যাপনের সুযোগ। বিচক্ষণভাবে ছুটির প্ল্যান করলে এ’ বছর ১৪ টির বেশি অবকাশযাপনের সুযোগ পেয়ে যাবেন। কয়েক দিনের জন্য ঘুরেই আসতে পারেন আপনার পছন্দের জায়গায়।
দীর্ঘ ৬ বছর পর এই বছর ক্যালেন্ডারে ১৪ টি ছুটির দিন পাচ্ছি আমরা। প্রথমে আসি জানুয়ারি মাসে। বছরের প্রথমেই পেতে পারতেন পাঁচ দিনের ছুটি। এক জানুয়ারি বর্ষবরণ ও ২ জানুয়ারি গুরু গোবিন্দ সিংহ জয়ন্তীতে অনেক অফিসেই ছুটি থাকে। ৩, ৪ এবং ৫, এই তিনটে ‘ডে অফ’ নিয়ে বেড়িয়ে আসতে পারেন। জানুয়ারির প্রবল ঠান্ডায় কাবু হতে না চাইলে এই সময় কেরল ঘুরে আসতেই পারেন।
এরপর ২১ শে ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার রয়েছে মহা শিবরাত্রির ছুটি। এদিন সরকারি, বেসরকারি অনেক অফিসই ছুটি থাকে। শনি ও রবিবার বেশিরভাগ সরকারি ও বেসরকারি অফিসই ছুটি। সোমবারটা ‘ডে অফ’ নিয়ে ২১ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঘুরে আসতে পারেন পছন্দের কোনও জায়গায়। এই সময়ে রয়েছে বিখ্যাত গোয়া কার্নিভাল। গান-নাচ, মজায় ভরপুর গোয়ায় বন্ধুদের নিয়ে ছুটি কাটাতে চলে যেতেই পারেন।
মার্চ মাসে ৭ ও ৮ তারিখ পড়েছে যথাক্রমে শনি ও রবিবার। সোমবার ‘ডে অফ’ পেয়ে গেলে মঙ্গলবার রয়েছে হোলির ছুটি। চারদিনের জন্য রঙের আমেজে বৃন্দাবন বেড়ানোর সুযোগের সদ্ব্যবহার করা উচিত। তাছাড়া উটি বেড়ানোরও ভালো সময় হল মার্চ মাস।
২ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার রাম নবমীতে কিছু কিছু অফিস ছুটি থাকেই। শুক্রবার ‘ডে অফ’ নিলেই ২ থেকে ৫ এপ্রিল পেয়ে যাবেন ট্রিপের সুযোগ। গরমে ঘেমে নেয়ে একসা হওয়ার এই সময়ে বেড়ানোর সেরা ঠিকানা হতে পারে দার্জিলিঙ বা যেকোনও হিল স্টেশন।
মে মাসে আবার দু’দফা ছুটির লিস্ট সাজিয়ে নিতে পারেন। প্রথমটা শুক্রবারের মে দিবসের ছুটি, এরপর শনি ও রবিবার। তারপর ৭ মে, বৃহস্পতিবার থাকছে বুদ্ধ পুর্ণিমার ছুটি। ৮ তারিখ শুক্রবারটা ‘ডে অফ’ নিলে ৭ থেকে ১০ এপ্রিল, চার দিনের অবকাশ যাপনের সুবর্ণ সুযোগ। তীব্র গরমের আবহাওয়া থেকে মুক্তি পেতে সোজা চলে যান হিমাচল প্রদেশ কিংবা কুলু-মানালি।
অগাস্টে বর্ষার মরসুমে এবার ছুটিই ছুটি। বুধবার, ১২ অগাস্ট জন্মাষ্টমীর ছুটি থাকে অনেক অফিসেই। ১৩ আর ১৪ অগাস্ট অফিস থেকে ছুটি ম্যানেজ করতে পারলে ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের ছুটিটা থাকছে হাতে। আবার ১৬ অগাস্ট পড়ছে রবিবার। সোমবার আবার পার্সি নিউ ইয়ার। এরপর ২৯ অগাস্ট শনিবার, ৩০ অগাস্ট মহরমের ছুটি আর ৩১ অগাস্ট ওনাম উৎসবের ছুটি থাকে কিছু জায়গায়। ঘোর বর্ষার এই মরসুমে ছুটি কাটানোর সেরা ঠিকানা চেরাপুঞ্জি।
এরপর অক্টোবর মাস। ২ অক্টোবর, শুক্রবার গান্ধী জয়ন্তীর ছুটি পাচ্ছেন। ৩ ও ৪ তারিখ পড়ছে শনি ও রবিবার। ২২ অক্টোবর আবার সপ্তমী। বাঙালির পুজোর ছুটির বাইরেও ২৯ অক্টোবর ইদের ছুটি। ৩০ তারিখ ‘অফ ডে’ নিলে ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর শনিবার ও রবিবারের পাচ্ছেন এমনিতে। পুজোর ছুটির ভ্রমণ তো রইলোই। তার সঙ্গে এই দিনগুলি ম্যানেজ করলেই এইসময় যেখানে খুশি ঘুরে আসা যায়।
১৩ নভেম্বর, শুক্রবার রয়েছে ধনতেরাস। শনিবার দীপাবলি। আবার সোমবার, ১৬ অক্টোবর ভাইফোঁটা। নভেম্বরের চারদিনের ছুটির পর আবার ২৮ ও ২৯ নভেম্বর শনি ও রবিবার এবং ৩০ নভেম্বর, সোমবার গুরু নানক জয়ন্তীর ছুটি। নভেম্বরে বেড়ানোর ভালো ঠিকানা উত্তর ভারত।
তারপর ২৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার রয়েছে ক্রিস্টমাসের ছুটি। ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর শনি ও রবিবার। ডিসেম্বরের ছুটির মেজাজে গোয়া থেকে দার্জিলিং তো আছেই তাছাড়া পছন্দের জায়গা বেড়ানোর সুযোগ রইল হাতের মুঠোয়।

Comments are closed.