কোভিড ১৯ এর মোকাবিলায় ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাকে বিগ জিরো, অশ্ব ডিম্ব বলে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যগুলোকে কিছুই দেওয়া হয়নি। অথচ করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলোই লড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আশা করেছিলাম মানুষের কষ্টের খানিকটা সুরাহা করবে কেন্দ্র। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর ভাষণে তেমন কিছুই খুঁজে পেলাম না। মমতার কথায়, এই দুর্দিনে কেন্দ্রীয় সরকার মানুষকে ধোঁকা ও ভাওতা ছাড়া আর কিছুই দেয়নি। তাঁর আক্ষেপ, করোনা মোকাবিলায় জারি করা লকডাউনের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। কিন্তু আর্থিক প্যাকেজে সেই সেক্টরকে চাঙা করার কোনও দিশানির্দেশ নেই। নেই কর্মসংস্থানের কোনও অভিমুখ। এই কারণেই মোদীর আমলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সর্বনাশ হল বলেও এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এই সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ধরেছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে। তাঁর অভিযোগ, বলা হচ্ছে জিডিপির ১০% প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আসলে তা জিডিপির মাত্র ২%।
মমতা কেন্দ্রের দিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, কোঅপারেটিভ ফেডেরালিজমের নামে লকডাউন করে স্টেটগুলোকে লকআউট করার প্রবণতা কেন্দ্রের। গণতন্ত্রে এটা শোভা পায় না। এই মনোভাবকে ধিক্কার জানাই। মমতার অভিযোগ, দেশের সমস্ত রাজ্যের অধিকার আজ থমকে গিয়েছে।
এদিন মমতা ঘোষণা করেন, রাজ্য সরকারি কর্মীদের উত্সবের জন্য দেওয়া অ্যাড হক বোনাস ২০০ টাকা বাড়িয়ে ৪২০০ টাকা করা হয়েছে। উত্সবের অ্যাডভান্স ৮ হাজার থেকে বেড়ে হল ১০ হাজার টাকা। এজন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে বাড়তি ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বিভিন্ন রাজ্যে শ্রম আইন বাতিলের প্রসঙ্গও এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, দেশের গরিব জনগণের উপর এমন অত্যাচার, এমন শোষণ আগে কখনও হয়নি। তাঁর দাবি, অর্ডিনান্স জারি করে শ্রমিকদের উপর শোষণ চালানো চলবে না। শ্রমিকদের অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে যাঁরা ফেলছেন, তাদের ধিক্কার জানাই, বলেন মমতা।
তাঁর অভিযোগ, কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই না করে বিজেপি সরকার ফেক নিউজ আর দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
Comments are closed.