কয়লার টাকা নাকি কালীঘটে যাচ্ছে! কার কাছে যাচ্ছে? নামটা বলুন না একবার? হুঁশিয়ারি মমতার 

কয়লা-গরু পাচার নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তুঙ্গে উঠেছে শাসক বিরোধীদের তরজা। এবার পাল্টা বিরোধীদের একহাত নিলেন তৃণমূল নেত্রী। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বলছে কয়লার টাকা নাকি কালীঘাটে গিয়েছে, কার কাছে যাচ্ছে? নামটা বলুন না একবার” এখানেই না থেমে কটাক্ষের সুরে বলেন, “টাকা কি মা কালির কাছে যাচ্ছে নাকি?” 

কয়লা-গরু পাচার নিয়ে এদিন ফের একবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে তোপ দেগেছেন তৃণমূল নেত্রী। প্রশ্ন করেন, কয়লা কার নিয়ন্ত্রণে, বর্ডার পাহাড় দেওয়ার দায়িত্ব কার? গরু-কয়লা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব, আমাদের নয়। এদিন ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল সুপ্রিম বলেন, বিএসএফ কতজনকে গুলি করে মেরে দিল, ধর্ষনের অভিযোগ রয়েছে। আর তারাই বর্ডার দিয়ে গরু পাচার করাচ্ছে। আর সংবাদমাধ্যমের একাংশকে হাতিয়ার করে বিজেপি তৃণমূলের বদনাম করছে। 

বিজেপির পাশাপাশি এদিন সিপিএমকেও একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, বিকাশবাবুরা আদালতে দাঁড়িয়ে আমাদের চোর বলছে, ওনাদের আমলে কীভাবে বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল? মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, বিকাশবাবুদের বলব বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে আদালতে একটি হলফনামা দেবেন নাকি? তৃণমূল নেত্রীর হুঁশিয়ারি, তৃণমূল পরিবারকে অপমান করা হলে, আমরাও ছেড়ে কথা বলব না। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, বর্তমানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাল্কমেলের রাজনীতি করা হচ্ছে। কিছুটা আক্ষেপের সুরেই রাজ্যের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, আমি সমাজসেবার জন্য রাজনীতিতে এসেছিলাম। এতটা নোংরা জানলে আসতাম না। 

Comments are closed.