কোনও ব্যক্তির ওপর রাগ করে তৃণমূলকে ভুল বুঝবেন না। দলের কিছু নেতা যে মানুষের রাগের কারণ হচ্ছেন, তা বুঝে দল থেকে ওই নেতাদের পৃথক করলেন মমতা ব্যানার্জি। বাঁকুড়ার সভা থেকে বললেন, অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল। ভুল সংশোধন করা হয়।
আমপান পর্বে তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের একাংশের রেশন দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপও নেয় তৃণমূল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত, তা সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ মেটাতে যথেষ্ট ছিল না। এবার ক্ষত মেরামতিতে নামলেন মমতা ব্যানার্জি। বাঁকুড়ার সভা থেকে দলনেত্রীর বার্তা, কোনও ব্যক্তির উপর রাগ থাকতে পারে। তা বলে তৃণমূলকে ভুল বুঝবেন না। মানুষের কাজ করতে গেলে ভুলভ্রান্তি হয়। আমাদের দল সেই ভুল সংশোধন করে নেবে। কিন্তু দেশ টুকরো হয়ে গেলে তা আর জোড়া লাগানো যায় না।
করোনা পর্বে দীর্ঘদিন পর আবার জনসভা শুরু করেছেন মমতা ব্যানার্জি। বুধবার তার শুরুটা হল বাঁকুড়া থেকে। ভোটের দিকে তাকিয়ে সবকটি দলই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বুধবার তৃণমূল নেত্রী সরাসরি জনসংযোগে নেমে পড়েন। মঞ্চ থেকে স্বীকার করে নেন দলের একাংশের জন-বিচ্ছিন্নতার কথা। কর্মীদের তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে হবে। আর তা করতে গিয়ে মমতা নিজস্ব স্টাইলে বললেন, রাজনীতি বা দল বা মানুষের কাজ করতে গেলে ত্রুটি বিচ্যুতি হয়। তৃণমূল নিজের ভুল সংশোধন করে নেবে। কিন্তু কোনও ব্যক্তির কারণে দলকে দূরে সরিয়ে দেবেন না। কারণ, বিজেপিকে দেশের সবচেয়ে বড়ো অভিশাপ বলে দাবি করে মমতা বলেন, ওরা দেশকে টুকরো করে দেবে। আমরা তা হতে দিতে পারি না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপিকে আরও বড়ো বিপদ হিসেবে চিহ্নিত করে মানুষকে তৃণমূলের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি সিপিএম ও কংগ্রেসকে একই সারিতে ফেলে আক্রমণ করে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, বিরোধীদের এক সারিতে ফেলে আগামী দিনেও নিশানা শানাবেন তিনি।
Comments are closed.