২০১৯ লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে ধাক্কা খাওয়ার পর প্রথম দলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি।
তার দেড় বছরের মাথায় আরও একটা কঠিন নির্বাচনের সামনে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী। আর সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ৪ ডিসেম্বর প্রথম বৈঠকে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠলেন তিনি। তৃণমূল সূত্রের খবর, এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা ব্যানার্জি হঠাৎই বলেন, অনেকে তাঁর মৃত্যুকামনা করছে। কারণ, তিনি মারা গেলে তারা তাঁর চেয়ারে (মুখ্যমন্ত্রীর পদে) বসতে পারবে!
মমতা ব্যানার্জির মুখে এই কথা শুনে দৃশ্যতই অপ্রস্তুত এবং আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিস্মিত হন সকলেই। অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া হয় সুব্রত বক্সির। তিনি বৈঠকের মধ্যেই ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেন। কাঁদতে কাঁদতেই মমতাকে বলেন, এমন কথা বলবেন না। আপনি সারা জীবন আমাদের নেত্রী থাকবেন। আপনি আমাদের রাস্তা দেখাবেন।
প্রবীণ নেতা সুব্রত বক্সিকে এভাবে কাঁদতে দেখে খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন তৃণমূল নেত্রীও। দলের রাজ্য সভাপতি বক্সিকে বলেন, আপনি কাঁদবেন না। শান্ত হোন।
তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে তৈরি হওয়া এই নাটকীয় এবং আবেগঘন পরিস্থিতিতে বাকি নেতারাও হতচকিত হয়ে পড়েন। কেন নেত্রী এমন কথা বললেন তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয় দলের অন্দরে।
লোকসভা ভোটে ধাক্কার পর আগামী বিধানসভা ভোটে যে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে তা বুঝতে পারছেন দলের অনেকেই। তারই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলছে তীব্র টানাপড়েন। শুভেন্দু দলে থাকবেন না ধরেই নিয়েছেন মমতা। দলে আরও ভাঙন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই। তারই মধ্যে এদিন খোদ নেত্রী এমন কথা বলায় অনেকেই হতবাক হয়ে যান।
Comments are closed.