রাজ্যে এসে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ মোদীর, নতুন সরকার এসে বিজেপির আমলের সব দুর্নীতির তদন্ত করবে, পালটা মমতা

এবার নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে মোদী-মমতার সংঘাত।
একদিকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ আনছেন, সেখানে রাজ্যে প্রচারে এসে কমিশনকেই ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার বীরভূমের জনসভায় মোদী নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাধারণ মানুষকে বলেন, আপনারা নিশ্চিন্তে ভোট দিন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভয় পেয়েছেন দিদি, তাই নির্বাচন কমিশনকে দোষ দিচ্ছেন। মোদীর অভিযোগ, হারের ভয় পেয়েই কেন্দ্রীয় সরকার থেকে নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করছেন তৃণমূল নেত্রী।
অন্যদিকে, এদিনও শ্রীরামপুর এবং কৃষ্ণনগরের সমাবেশ থেকে মোদীকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, গত পাঁচ বছরের মধ্যে সাড়ে চার বছর শুধু বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একটা কাজও হয়নি। কেন্দ্রে নতুন সরকার এসে মোদীর আমলে হওয়া সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাফাল তো তদন্ত চলছেই, এছাড়া গুজরাতের ব্যবসায়ীকে ছাড় থেকে পেটিএম, সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত হবে। সেই সঙ্গে মমতার অভিযোগ, বিজেপির কথাতেই এ রাজ্যে সাত দফায় নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এই পক্ষপাতপূর্ণ কাজ বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।
বুধবার বীরভূমের নির্বাচনী সভার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগ, এ রাজ্যে বাম শাসনে অতিষ্ঠ হয়ে ‘দিদি’র ওপর ভরসা করেছিল মানুষ। কিন্তু মমতার সরকারের আমলে সিন্ডিকেট আর গুণ্ডারাজ চরম হয়েছে।
মমতার পালটা জবাব, এবার দিল্লিতে নতুন সরকার হচ্ছেই। আর সেই সরকার গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে তৃণমূল কংগ্রেস।

Comments are closed.