অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ, ইস্যুকে সমর্থন করছি, বনধকে নয়, ৮ জানুয়ারি ভারত বনধ নিয়ে মন্তব্য মমতার

ইস্যুকে সমর্থন করছি, বনধকে নয়। এমনিতেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। তার উপর এই বনধ কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না।  কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠকে সোমবার স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির।
অর্থনীতিতে মন্দা, কর্মসংস্থানের বেহাল দশা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধের প্রতিবাদ, এনআরসি ও এনপিআরের বিরোধিতায় আগামী ৮ জানুয়ারি ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে  কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। পাশাপাশি, ওই দিনই গ্রামীণ ভারত ধর্মঘট ডেকেছে কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠনগুলি। সিপিএম, কংগ্রেস সহ ২০ টি দল এ রাজ্যে এই ধর্মঘটের সমর্থন করছে। এদিকে প্রথম থেকেই এই বনধের বিপক্ষে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছেন, যে বিষয়গুলিকে সামনে রেখে এই ধর্মঘট ডাকা হচ্ছে, সেই ইস্যুগুলোকে সমর্থন করলেও তাঁরা ‘বনধ সংস্কৃতি’র বিপক্ষে। যা নিয়ে তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে সংঘাতের পারদ চড়ছিলই। এবার খোদ নেত্রী ফের জানিয়ে দিলেন, ৮ তারিখের বনধ এ রাজ্যে হচ্ছে না। ওই দিন এলাকায় যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা না ঘটে তার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, বনধের ইস্যুকে সমর্থন করলেও বনধ সংস্কৃতির বিপক্ষে আমরা। এমনিতেই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভীষণ খারাপ। এই অবস্থায় একদিন বনধ মানেই হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি। তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার প্রথম থেকেই আমরা কোনওরকম বনধের বিপক্ষে। এনআরসি, এনপিআর কিংবা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধের বিরোধিতায় যে ভারত বনধ ডাকা হয়েছে, তার প্রতিটি ইস্যুকে সমর্থন করছি। কিন্তু এই বনধের কোনও প্রভাব রাজ্যে পড়তে দেব না। তিনি জানান, এনআরসি ও এনপিআরের বিরুদ্ধে ‘গণতান্ত্রিক কায়দায়’ তাঁরা আন্দোলন করছেন। তা জারি থাকবে। তবে কোনও বনধ চলবে না।
প্রসঙ্গত, ৮ জানুয়ারির এই বনধ ঘিরে প্রথম থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন বনধের বিরোধিতা করতে এলে ‘চোখে চোখ রেখে লড়াই’ হবে। শান্তিপূর্ণ ধর্মঘট জোর করে ভাঙার চেষ্টা করলে প্রতিহত করতে তাঁরা তৈরি থাকবেন। এবার কাকদ্বীপের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ধর্মঘট নিয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Comments are closed.