কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা রেড জোনে, সর্বাত্মক লকডাউন মেনে চলুন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনকে কড়া হওয়ার নির্দেশ মমতার

হাওড়ার পরিস্থিতি খুব স্পর্শকাতর। সংক্রমণ ঠেকাতে না পারলে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা। কড়া নজরে রাখতে হবে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনাকেও। শুক্রবার মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। হাওড়ার কিছু এলাকার পাশাপাশি কলকাতার কয়েকটি ওয়ার্ডও রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। এই সমস্ত এলাকায় কঠোরভাবে লকডাউন মানতে হবে। প্রয়োজনে বাজার এলাকায় সশস্ত্র পুলিশ নামানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। বললেন, রেড জোনে কাউকে ঢুকতে বা বেরোতে দেওয়া হবে না। বেলা বারোটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে এলাকার সমস্ত বাজার। মমতার কথায়, কড়াভাবে ব্যাপারটিকে দেখতে হবে, না হলে বিপদ।

এরপরই হাওড়া, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে মুখ্যমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন, ১৪ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোকে রেড জোন থেকে অরেঞ্জ জোনে ফেরাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চেষ্টা থাকলে সব হয়। মেদিনীপুর রেড জোন থেকে অরেঞ্জ জোনে চলে এসেছে। মমতার কথায়, দেখি কে কত দ্রুত করতে পারে। কেন্দ্রের তরফে এই ৪ জেলাকে রেড জোনে রাখা হয়েছিল।

মমতা ব্যানার্জি জানান, রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের ৯০% হাওড়া, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা জানান, উত্তর ও মধ্য কলকাতার কয়েকটি ওয়ার্ড রেড জোনে রয়েছে। একইভাবে উত্তর ২৪ পরগনার শিল্পাঞ্চল এলাকাও রেড জোনে পড়ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে রেড জোন ধরে নয়, পুরো জেলা জুড়েই কঠোরভাবে লকডাউন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ নজর ছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। তিনি বলেন, আমি বুঝি না উত্তর ২৪ পরগনায় কী আছে! ডেঙ্গিও এখানে প্রথম হয়, এবার করোনাভাইরাসও হল। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে সতর্ক করে দেন, সীমান্ত পেরিয়ে একজনও যেন ঢুকতে না পারে। এজন্য প্রশাসকদের দিনরাত কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Comments are closed.