স্বচ্ছ ও সাশ্রয়ী শক্তির ব্যবহারে জোর রিলায়েন্সের, কার্বন-ডাই-অক্সাইড পুনর্ব্যবহারের প্রযুক্তির কথা শোনালেন মুকেশ আম্বানী

কার্বন ডাই অক্সাইডকে দায় না ভেবে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে কম কার্বন দহনের উপকারিতা সবাই উপলব্ধি করেছেন। শিল্প-প্রযুক্তিতেও পুনর্ব্যবহার হতে পারে এই কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মন্তব্য মুকেশ আম্বানীর।

শুক্রবার এফআইআই ইনভেস্টমেন্ট ইনস্টিটিউট কনফারেন্সে ‘ডু নট ফরগেট আওয়ার প্ল্যানেট’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার তথা বিশ্বের অন্যতম ধনী মুকেশ আম্বানি।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনায় তিনি বলেন, আমি লক্ষ্য করেছি, শিল্প বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কার্বন চক্রকে আমরা বিঘ্নিত করেছি। এখন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেই ভারসাম্যকে পুনরুদ্ধার এবং কার্বন চক্রকে সঠিকভাবে পরিচালনার সময় এসেছে।

বৈঠকে ছিলেন সৌদি আরবের প্রিন্স আব্দুলাজিজ বিন সলমন আল সাউদ, টোটাল সংস্থার সিইও প্যাট্রিক পয়েন প্রমুখ।

মুকেশ আম্বানী বলেন, আমি মনে করি, আমরা নতুন প্রযুক্তি দিয়ে জৈব রাসায়নিক সংশ্লেষণকে কাজে লাগাতে পারি। কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে দায় হিসাবে না ভেবে একে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল হিসেবে দেখতে পারি। তিনি বলেন, বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতিতে কার্বন শূন্য হওয়াই অপরিহার্য নয়, একে পুনর্ব্যবহারও করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, প্রকৃতিই সেরা প্রযুক্তি।  এবং কীভাবে প্রতিটি প্রাকৃতিক জিনিসের পুনর্ব্যবহার করতে হবে তা প্রকৃতি জানে।

এ বিষয়ে জি-২০ অধিবেশনে সৌদি আরবের ভূমিকার প্রশংসা করেন। মুকেশ আম্বানী মনে করেন, পুনর্নবীকরণযোগ্য বা পরিষ্কার জ্বালানীর ব্যবসার কাঠামো খুবই সাধারণ। তিনি বলেন, পৃথিবীর সমস্ত মানুষের জন্য শক্তি অপরিহার্য এবং প্রয়োজনীয়। শুধু দরকার দক্ষ, দূষণহীন এবং সাশ্রয়ী শক্তি সরবরাহের। তিনি বলেন, দায়িত্বশীল উপায়ে পরিবেশের ভারসাম্যের দিকে নজর দিয়ে এই শক্তি ব্যবহার করতে হবে। এটাই ব্যবসা। দেশের প্রতিটি মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে সমানভাবে সেই শক্তি ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। কারণ, যে কোনও শিল্পের লক্ষ্য হল, সর্বজনীন সমৃদ্ধি।

প্রসঙ্গত, মুকেশ আম্বানীর সংস্থা জামনগরে তাদের যুগ্ম শোধনাগার কমপ্লেক্স প্রক্রিয়াজাত করার জন্য সৌদি আরব থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অপরিশোধিত তেল কিনেছে। এতে রিলায়েন্স তার তেল ও রাসায়নিক ব্যবসায়ের এক পঞ্চমাংশ সৌদি অ্যারামকো সংস্থাকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে বিক্রি করার কথা বলেছে। সৌদি আরবের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল, পিআইএফ আম্বানীদের ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্ম জিও-র ২.৩ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। এই প্রেক্ষিতে প্রযুক্তির আরও উল্লেখযোগ্য ব্যবহার এবং চিরাচরিত শক্তিকে কাজে লাগানোর উপর জোর দেওয়ার কথা বলেন মুকেশ আম্বানী।

Comments are closed.