দেশের বহু রাজ্যে বাড়ছে বৈষম্য, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা, রিপোর্ট প্রকাশ নীতি আয়োগের

বেশ কিছু বছর আগে রাষ্ট্রসংঘ তার সদস্য দেশগুলির জন্য কিছু নির্দিষ্ট মাপকাঠি ঠিক করে দেয়। সেখানে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য, ক্ষুধা, বৈষম্যের মত বিষয়গুলি ২০৩০ সালের মধ্যে দূর করতে হবে।
কিন্তু ঠিক কতটা এগিয়েছে ভারত? রাষ্ট্রসংঘের নির্দিষ্ট করে দেওয়া এই মাপকাঠিগুলো পূরণে কী অবস্থান ভারতের? তা নিয়ে গত সপ্তাহে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নীতি আয়োগ। নীতি আয়োগের সাম্প্রতিক সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের বহু রাজ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং বৈষম্য আরও খারাপ আকার নিয়েছে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক বছর আগেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছিল দেশে। সে সময় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির রিপোর্টেও প্রশংসা করা হয়েছিল ভারতের দারিদ্র্য, ক্ষুধা এবং বৈষম্য দূরীকরণের প্রচেষ্টার।
তথ্য বলছে, ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে প্রায় ২৭১ মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্র্য সীমার বাইরে নিয়ে গিয়েছিল ভারত। তথ্য আরও বলছে, সে সময় শুধু দারিদ্র্যই নয়, শিশু ও বড় সব মিলিয়ে ক্ষুধা, বৈষম্যের মত বিষয়গুলি প্রায় ৫০ শতাংশ কমানো গিয়েছিল। এই ১০ বছরে চিনের সঙ্গে এই ক্ষেত্রে পাল্লা দেয় ভারত। কিন্তু সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, রাষ্ট্রসংঘ যে ১৭ টি বিষয় উল্লেখ করেছিল, তার মধ্যে ১৩ টিতে গবেষণা চালিয়েছে নীতি আয়োগ। তার জন্য বিভিন্ন মাপকাঠি ঠিক করা হয়েছিল।
সেই রিপোর্টে প্রকাশ, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০১৯ এর ডিসেম্বরে দেশের ১৮ টি রাজ্যের মধ্যে ২২ টিতেই বেড়েছে দারিদ্রতা। এই তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে বিহার, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাব। ক্ষুধা দূরীকরণও ধাক্কা খেয়েছে এই এক বছরে। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্য ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে এবং শিশু ক্ষুধার উপর। বলা হয়েছে, দেশের মধ্যে আর্থিক বৈষম্যও ধরা পড়েছে এই এক বছরে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর প্ল্যানিং কমিশন ভেঙে নীতি আয়োগ তৈরি হয়। যা কেন্দ্রের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করে। সরকারকে পরামর্শ, বিভিন্ন বিষয়ে পরিকল্পনা, সামাজিক আর্থিক বিষয়ে গবেষণা ও পাইলট প্রজেক্ট তদারকি করে থাকে নীতি আয়োগ।

 

Comments are closed.