বাবা- মায়ের জন্মস্থান ও জন্মতারিখ থাকা চলবে না, বিহারে এনপিআর হবে ২০১০ সালের নিয়মে, ঘোষণা নীতীশ কুমারের

কেন্দ্রের নয়া এনপিআরের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগেই মুখ খুলেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিহারে বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিইউ দলের প্রধান জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রকে এনপিআর সংশোধনের আর্জি জানাবেন তিনি। তবে রবিবারই নীতীশের ঘোষণা, তাঁর রাজ্যে কোনওভাবেই এনআরসি লাগু হবে না এবং ২০১০ সালের মতো এনপিআর আপডেট হলে তবেই তা বিহারে চালু হবে।
রবিবার বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলার চন্দনপট্টিতে মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল উর্দু ইউনিভার্সিটির এক অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন নীতীশ কুমার। সেখানেই তিনি বলেন, বিহারে নাগরিকপঞ্জি প্রয়োগ করা হচ্ছে না এবং ২০১০ সালের মতো জাতীয় জনগণনা পঞ্জি চালু করা হলে তবেই তা বিহারে হবে, তার আগে নয়।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসেও নীতীশ কুমার ঘোষণা করেছিলেন, বিহারে এনআরসি হচ্ছে না। যদিও কেন্দ্রের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে তাঁর দলের সমর্থন রয়েছে। এনআরসি নিয়ে সেই আগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকছেন বলে রবিবার জানিয়ে দেন নীতীশ।
প্রসঙ্গত, নয়া এনপিআর ফর্মে বাবা-মায়ের জন্মস্থান, জন্মের তারিখ চেয়ে একটি নয়া কলাম দেওয়া হয়েছে। যার তীব্র বিরোধিতা করছে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। বাংলা ও কেরল সরকার তাই এনপিআর প্রক্রিয়া মুলতুবিও রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি- সহ বিরোধী নেতাদের অভিযোগ, এনপিআর আসলে এনআরসি ও সিএএ -র প্রথম ধাপ। যাঁরা এনপিআর ফর্মে বাবা-মায়ের জন্মস্থান ও তারিখ উল্লেখ করতে পারবেন না তাঁদের চিহ্নিত করে রাখা হবে এবং পরে বিদেশি ঘোষণা করে ডিটেনশন ক্যাম্পে ঠাঁই দেওয়া হবে। কিছুদিন আগে নীতীশ কুমারও জানিয়েছিলেন, তিনিই নিজেই তাঁর মায়ের জন্মস্থান ও তারিখ বলতে পারবেন না। রাজ্যের সাধারণ মানুষ কী করে দেবেন? তিনি এও জানিয়েছিলেন, এনপিআরের যে কলাম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা সংশোধনের আর্জি জানাবেন কেন্দ্রের কাছে। এর মধ্যেই রবিবার ২০১০ সালের এনপিআর ফর্মের পক্ষে সওয়াল করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

Comments are closed.