কর্ণাটকের স্কুলে ক্ষুদেদের নাটকে দেশদ্রোহিতার কিছু নেই, পর্যবেক্ষণ আদালতের

কর্ণাটকের বিদারে স্কুল পড়ুয়াদের নাটকে কোনও রাষ্ট্রদ্রোহিতার প্রমাণ মেলেনি। পুলিশের করা দেশদ্রোহিতার মামলায় অভিযুক্ত সবার আগাম জামিন দিয়ে জানাল বিদার জেলা দায়রা আদালত। বিদারের শাহিন উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের পুলিশ অযথা হয়রান করেছে বলে আদালতের পর্যবেক্ষণ।
গত জানুয়ারি মাসে কর্ণাটকের ওই স্কুলে খুদে পড়ুয়াদের একটি নাটক নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। অভিযোগ ওঠে, সিএএ-র প্রতিবাদে করা ওই নাটকে কচিকাঁচা অভিনেতাদের মুখে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য বসানো হয়েছে এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সকলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করে। ১১ বছরের এক পড়ুয়ার মা ও স্কুলের এক শিক্ষিকাকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় গত ২১ জানুয়ারি। এরপর ওই নাটকে অংশ নেওয়া পড়ুয়াদের কয়েকজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করার অভিযোগ উঠে এসেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার বিতর্কিত এই মামলার শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই নাটকে পড়ুয়ারা বলতে চেয়েছে, নির্দিষ্ট তথ্য না দিতে পারলে তাদের দেশছাড়া করা হতে পারে। এর সঙ্গে দেশদ্রোহিতার কোনও সম্পর্ক নেই। পাশাপাশি যে সংলাপ ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে কোনও সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ছড়ানো বা সরকারের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের মতো ঘটনা ঘটেনি বলে মন্তব্য করেন বিচারক।
ওই স্কুলের ঘটনাটি সামনে আসার পর পুলিশ কখনও বাড়িতে, কখনও স্কুলে গিয়ে ছোট বাচ্চাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, কখনও পড়ুয়াদের জিজ্ঞেস করেছে, কারা ওই নাটকে অংশ নিয়েছিল। এক পড়ুয়ার মাকে গ্রেফতার করার দু’সপ্তাহ পর তিনি জামিন পান। ওই মহিলা ছাড়াও সাংবাদিক মহম্মদ ইউসুফ রহিম, স্কুলের সভাপতি আব্দুল কাদির ছাড়াও স্কুল কর্তৃপক্ষের চারজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। এদের মধ্যে মহম্মদ ইউসুফ ফেসবুকে ওই নাটকের ভিডিয়োটি আপলোড করেছিলেন।

Comments are closed.