বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের হিড়িক উত্তর-পূর্বে, ছত্তিসগঢ়ে সব আসনে নয়া প্রার্থী দিচ্ছে বিজেপি

নির্বাচনে লড়ার টিকিট না পেয়ে অরুণাচল প্রদেশের ১৮ জন বিজেপি নেতা দল ছাড়লেন। ১১ ই এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। একই সঙ্গে বিধানসভা ভোটও হবে অরুণাচল প্রদেশে।  সেই ভোটে লড়ার টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে দল ছাড়লেন বিজেপির ২ মন্ত্রী, ৬ নেতা সহ মোট আঠারো জন। যোগ দিলেন কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপল’স পার্টি (এনপিপি)তে। ন্যাশনাল পিপল’স পার্টির সাধারণ সম্পাদক থমাস সাংমা জানান, অরুণাচলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুমার ওয়ালি ও রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী জারকার গামলিন যোগ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে তাঁর দল যে, কোনও দলের সঙ্গেই জোট করছে না সেকথাও পরিষ্কার করে দেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, বিজেপির মতাদর্শই ভুল। বিজেপি ধর্মনিরপেক্ষ দল নয়, অভিযোগ থমাস সাংমার। বিধানসভা নির্বাচনের ৬০ আসনের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসবে এনপিপি বলে দাবিও করেন তিনি। অন্যদিকে, সদ্য বিজেপি ত্যাগী কুমার ওয়ালির কটাক্ষ, বিজেপি নেতারা কংগ্রেসকে পরিবারতান্ত্রিক দল বলে খোঁচা দেন। অথচ অরুণাচল প্রদেশে শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের তিন সদস্য টিকিট পেয়েছেন।
ভাঙন ত্রিপুরা বিজেপিতেও। রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি সুবল ভৌমিক মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দল ছাড়েন মঙ্গলবার। কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বিজেপি নেতা প্রকাশ দাস ও বিজেপি কিষাণ মোর্চার সহ সভাপতি প্রেমতোষ দেবনাথও বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যান।  সুবল ভৌমিকের দাবি, বিজেপি একটি দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার চালাচ্ছে, মানুষকে ভালো কিছুই তারা দিতে পারেনি। সুবল ভৌমিক আরও বলেন, তিনি নিশ্চিত যে এই নির্বাচনে বিজেপিকে সরিয়ে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে কংগ্রেস। অবশ্য ২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত কংগ্রেসরই বিধায়ক ছিলেন সুবল ভৌমিক।এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে উত্তর-পূর্বে প্রায় ২৫ জন বিজেপি নেতা দল ছাড়লেন।
অন্যদিকে, ছত্তিসগঢ় বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবির জের এসে পড়ছে সে রাজ্যের লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকায়। গতবারের একজনকেও এবার টিকিট দিচ্ছে না বিজেপি। ফলে ছত্তিসগঢ়ে এবার একেবারে আনকোড়াদের নিয়েই ভোটে লড়তে হবে মোদী-অমিত শাহদের। তবে মঙ্গলবার ছত্তিসগঢ় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অনিল জৈন দাবি করেন, নতুন প্রার্থীদের নিয়ে নতুন উদ্দীপনার সঙ্গে ভোটে লড়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন তাঁরা। এই সিদ্ধান্তের জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই বা সাতবারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ বাইসের মতো হেভিওয়েট নেতাদেরও প্রার্থী করছে না বিজেপি। সূত্রের খবর, ছত্তিসগঢ়ে বিদায়ী সাংসদদের পরিবারের কোনও সদস্যকেও লোকসভা নির্বাচনে লড়ার টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।

Comments are closed.