সামরিক অভিযান নয়, পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে বিমান হামলা, ফের আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল জৈশ, জানালেন বিদেশ সচিব

পুলওয়ামা হামলার ১২ দিন পর মঙ্গলবার ভোররাতে ১২ মিরাজ যুদ্ধ বিমানের সার্জিকাল স্ট্রাইকে লণ্ডভণ্ড পাকিস্তানের মাটিতে রমরম করে চলা জৈশ জঙ্গি তৈরির কারখানা। মৃত্যু হয়েছে বিশাল সংখ্যায় জৈশ জঙ্গির। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার সার্জিকাল স্ট্রাইকের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন বিদেশ সচিব ভি কে গোখলে। পাশাপাশি তিনি জানান, ফের আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল জৈশ।
গোখলে জানান, দু’দশক ধরে পাকিস্তানে ভারত বিরোধী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জৈশ-ই-মহম্মদ। বারবার পাকিস্তানকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও গা করেনি তারা। এই প্রেক্ষিতেই ঘটে যায় ১৪ ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ ফিদায়েঁ হামলার ঘটনা। পুলওয়ামায় মৃত্যু হয় অন্তত ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের। ভারতে আরও এমন হামলা চালানোর তোড়জোড় করা হচ্ছিল বলেও দাবি বিদেশ সচিব ভি কে গোখলের। এবার তারই প্রত্যাঘাত করে জৈশের সবচেয়ে বড় ক্যাম্প উড়িয়ে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। বিদেশ সচিব বলেন, ভোর রাতের অপারেশনে বালাকোটে জৈশের সবচেয়ে বড় ক্যাম্প, যার দায়িত্বে ছিল মৌলানা ইউসুফ আজহার, তা ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধ বিমান মিরাজ ২০০০। মৌলানা ইউসুফ আজহার সম্পর্কে মাসুদ আজহারের শ্যালক। তবে এই এয়ার সার্জিকাল স্ট্রাইকে কোনও সাধারণ মানুষ হতাহত হননি বলে জানিয়েছেন গোখলে। তাঁর দাবি, জঙ্গি ক্যাম্পগুলি গভীর জঙ্গলের ভিতর কোনও পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত ছিল, ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে কোনও সাধারণ মানুষের আনাগোনা ছিল না। বিমান অভিযানে যেন একজনও  সাধারণ মানুষের প্রাণ না যায় তা নিশ্চিত করতে সেনা বধ্যপরিকর ছিল বলেও জানান তিনি। তবে ঠিক কত জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে তা জানাননি ভি কে গোখলে।

Comments are closed.