রণক্ষেত্র হাওড়া স্টেশন! স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দিতে হবে এমন দাবি করা যাত্রীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ করতে হলে পুলিশকে!

যাত্রীদের বিক্ষোভের চোটে রণক্ষেত্র হলো হাওড়া স্টেশন। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্জ করতে হলো পুলিশ কে। দাবি একটাই! স্পেশাল ট্রেন এ উঠতে দিতে হবে তাদের কেও। অনেকে বলছেন তারা কলকাতা এসেছেন কাজের জন্য। কিভাবে বাড়ি ফিরবেন তারা? রোজ রোজ গাড়ি ভাড়া করা সম্ভব নয় তাদের পক্ষে, তাই ট্রেন ই ভরসা।

এদিন সকালে স্টেশন ঢোকার মুখেই আটকানো হয় যাত্রীদের। তাদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় গেট।’ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দিতে হবে এরকম দাবী করলে যাত্রীদের সঙ্গে জিআরপিএফ ও আরপি এফ পুলিশের বচসা বেঁধে যায়। এরপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে তাদের ওপর বলে অভিযোগ করা হয়। যদিও পুলিশের তরফ থেকে এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে।

অন্যদিকে মগরা থেকে আগত এক মহিলা যাত্রী বলেন তিনি পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। ওই মহিলার বক্তব্য তিনি নিজে একজন পুলিশ কর্মী, কিন্তু পরিচয় পত্র দেখানোর পরেও পুলিশরা তাকে মারধর করে।

প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পেটের টানে রুটি-রুজির খোঁজে বাইরে বেরোতে হচ্ছে এখন মানুষকে। আনলক পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পরেও এখন অবধি লোকাল ট্রেন কবে থেকে চালু হবে সেই সম্পর্কে কোন সঠিক নির্দেশিকা বেরোয়নি। পুজোর পর ট্রেন চালু হবে বলে যে খবর বেরিয়েছিল তাও এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এর আগেও পূর্ব রেলের তরফ থেকে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হলেও নবান্নের তরফ থেকে লোকাল ট্রেন চালু করার ব্যাপারে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রেল। অন্যদিকে উত্তরোত্তর অসন্তোষ বেড়েই চলেছে যাত্রীদের মধ্যে। তাদের বক্তব্য ট্রেন ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা নেই তাদের। পেটের টানে যারা কলকাতায় আসছেন তাদের বাড়ি ফিরতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। তাদের অনেকেরই এটা বলছেন যদি সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেট্রো চালু করা যায়, তাহলে লোকাল ট্রেন চালু করা যাবে না কেন? অন্যথা স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দেওয়ার অনুমতি দিতে হবে সাধারণ যাত্রীদের। উল্লেখ্য, স্পেশাল ট্রেনে এখন শুধুমাত্র রেল কর্মচারীরা উঠতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই বিক্ষোভের পর রাজ্য সরকার লোকাল ট্রেন চালানোর কথা ভাববেন কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।

Comments are closed.