পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএম সম্পাদক নিরঞ্জন সিহিকে মারছে পুলিশ, চা খাচ্ছেন রবীন দেব, ভাইরাল ভিডিওয় উত্তাল সিপিএম

পূর্ব মেদিনীপুরের সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহিকে পুলিশের মারধরের ঘটনায় সামনে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছেন ওই জেলারই দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রবীন দেব। এমনই এক ভিডিওকে কেন্দ্র করে উত্তাল দুই মেদিনীপুরে সিপিএমের অন্দর মহল। প্রায় দেড় বছরের পুরনো এই ঘটনা এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় গত দু’তিন দিন ধরে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে, যার আঁচ এসে পৌঁছেছে কলকাতার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটেও।
সূত্রের খবর, ঘটনাটি ২০১৭ সালের শেষ দিকের। পূর্ব মেদিনীপুরের হাসপাতাল মোড়ে একটি আইন অমান্য কর্মসূচি নিয়েছিল সেই জেলার বামফ্রন্ট। রাজ্য নেতাদের মধ্যে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রবীন দেব এবং মিনতি ঘোষ। সেই কর্মসূচি চলাকালীনই কিছু সিপিএম কর্মী-সমর্থক জেলা শাসকের অফিসে চড়াও হন এবং ভাঙচুর করেন। এরপরই মারমুখী হয়ে ওঠে পুলিশ। জেলা সিপিএমের সম্পাদক নিরঞ্জন সিহিকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে মারতে শুরু করে পুলিশ। মারতে মারতে নিরঞ্জন সিহিকে পুলিশ টেনে-হিঁচড়ে ভ্যানে নিয়ে তোলে। সেখানে এক দলীয় কর্মী গোটা ঘটনাটির ভিডিও করেন। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জেলা সম্পাদককে পুলিশ ব্যাপক মারধর করলেও রাজ্য নেতা রবীন দেব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছেন। জেলা সম্পাদককে বাঁচাতে বা পুলিশকে আটকাতে কোনও উদ্যোগই নিচ্ছেন না।

সম্প্রতি দু’তিন ধরে এই ভিডিওটি মুর্শিদাবাদ এবং দুই মেদিনীপুরের সিপিএম কর্মী এবং সদস্য পরিচালিত একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রবীন দেবের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে কমেন্ট করা হয়েছে রবীন দেবের বিরুদ্ধে। একজন জেলা সম্পাদক মার খাওয়া সত্ত্বেও রাজ্য নেতা কেন পুলিশকে বাধা দিচ্ছেন না, অবলীলায় চা খাচ্ছেন তা নিয়েই রবীন দেবকে বিঁধেছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের পক্ষ থেকে রবীন দেব দুই মেদিনীপুরেরই দায়িত্বে। সেখানে এই দুই জেলা থেকেই তরুণ পার্টি কর্মী এবং সদস্যরা যেভাবে রবীন দেবের সমালোচনা শুরু করেছেন তা রীতিমতো বিড়ম্বনায় ফেলেছে সিপিএমকে।

Comments are closed.