দিল্লি দাঙ্গার চার্জশিটে এবার সলমন খুরশিদের নাম, উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশের অভিযোগ

সীতারাম ইয়েচুরি, বৃন্দা কারাট, প্রশান্ত ভূষণ, যোগেন্দ্র যাদবের পর এবার আর এক প্রবীণ রাজনীতিবিদের নাম জুড়ল দিল্লি হিংসা মামলার চার্জশিটে। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে দিল্লি পুলিশ। ১৭ হাজার পাতার যে চার্জশিট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ জমা দিয়েছে, তাতে রয়েছে সলমন খুরশিদের নাম। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান উল্লেখ করে রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘উমর খালিদ, সলমন খুরশিদ, নাদিম খান… এঁরা প্রত্যেকে দিল্লির সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন। সাধারণ মানুষকে তাঁরা হিংসায় ইন্ধন জুগিয়েছেন।’
যদিও দিল্লি পুলিশ সলমন খুরশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা উস্কানিমূলক বক্তব্যের সঠিক প্রকৃতির কথা উল্লেখ করেনি। সাক্ষীর পরিচয়ও তারা গোপন রেখেছে। পুলিশ দাবি করেছে, ওই সাক্ষী হিংসায় ষড়যন্ত্রকারী মূল দলের অংশ ছিল। সাক্ষীর বিবৃতি এক ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশের রেকর্ড করা একটি বিবৃতিতে আরেক অভিযুক্তও খুরশিদের নাম নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি হিংসায় মৃত্যু হয় ৯৪ জনের। আহত হন শতাধিক মানুষ। কয়েক লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত দিল্লি পুলিশ যে যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম দিয়েছে চার্জশিটে তার মধ্যে সবচেয়ে হেভিওয়েট নাম সলমন খুরশিদ। প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা একাধারে যেমন বিখ্যাত লেখক ও আইনজীবী, তেমনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও বটে।
দিল্লি হিংসায় পুলিশের চার্জশিটে তাঁর নাম জড়ানো প্রসঙ্গে ৬৭ বছর বয়সী সলমন খুরশিদ বলেন, জানতে কৌতূহল হচ্ছে, আমি কী ধরনের প্ররোচনা দিয়েছি। তাঁর কটাক্ষ, যদি সব জায়গা থেকে আবর্জনা জোগাড় করা হয়, তখনই ১৭ হাজার পাতার চার্জশিট তৈরি হয়। কোনও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে থাকলে সে সময় পুলিশ কেন পদক্ষেপ করেনি সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এদিকে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সদস্য উমর খালিদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। দিল্লি হিংসার গোটা ঘটনায় উমরকে অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Comments are closed.