শান্তনু ঠাকুর: আমি CAA’র পক্ষে, CAA বিরোধী দলে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন নেই

আমি নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনকারী। তাই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন অবান্তর। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ঠাকুরনগরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী সিদ্ধান্ত নেন তার অপেক্ষায় রয়েছি। হেস্টিংসের বিজেপি অফিসের সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই মন্তব্য করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
মতুয়াদের নাগরিকত্বের বিষয়ে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বেশ কিছুদিন ধরেই তোপ দেগে আসছেন নিজের দলের উপর। মতুয়া মহাসঙ্ঘের নেতা শান্তনুর হুঁশিয়ারি ছিল নিজেদের অধিকার নিজেরাই অধিকার করে নেবে মতুয়ারা। তারপর কিছুদিন আগে বনগাঁয় মমতা ব্যানার্জির সভার প্রেক্ষিতে তাঁর প্রশংসা এবং গত ১৯ ডিসেম্বর বনগাঁর সভা বাতিল করে অমিত শাহের পশ্চিম মেদিনীপুর সফরের পরেই শান্তনু ঠাকুরের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন কোভিডের টিকাকরণ কবে চালুর পরে নাগরিকত্ব আইন চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর মধ্যে ক্ষুব্ধ শান্তনু ঠাকুরকে দলে টানতে বার্তা দেয় তৃণমূল। যদিও বুধবার দুপুরে শান্তনু ঠাকুরকে পাশে বসিয়ে হেস্টিংসের বিজেপি অফিস থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। তাঁর অভিযোগ এতদিন ধরে মতুয়াদের নিয়ে ভোট বাক্সের রাজনীতি করে আসছে তৃণমূল। তাদের কোনও উন্নয়নই হয়নি। পাশাপাশি শান্তনু ঠাকুর বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন বোঝাতে তাঁর দিকে মাইক্রোফোন এগিয়ে দেন মুকুল রায়। সেখানে শান্তনু ঠাকুর বলেন, আমি বিজেপি সাংসদ। কিন্তু কিছুদিন ধরে গুজব ছড়ানো হচ্ছে আমি অন্য দলে যোগ দিচ্ছি। শান্তনুর কথায়, সিএএ নিয়ে আমি নিজের দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদন রেখেছি। আমি সিএএ- এর পক্ষে। তাই সিএএ বিরোধী দলে আমরা যোগদানের প্রশ্ন অবান্তর। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ আরও জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঠাকুরনগরে এসে সিএএ নিয়ে কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন তিনি। তবে অন্য দলে তাঁর যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর।

Comments are closed.