ফের মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়ের ট্যুইটে বিতর্ক। আদানি, আম্বানীদের পাশে দাঁড়িয়ে মোদী সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার পক্ষে জোরদার সওয়াল করলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি তথাগত রায়। দাবি করলেন, পৃথিবীতে সব সমৃদ্ধি এসেছে ব্যক্তিগত মালিকানার উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে।
তাঁর যুক্তি, সরকারের কাজ শিল্প চালানো নয়, শুধু শিল্পের পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে যাঁরা সওয়াল করছেন তাঁদের ‘নেহরুবাদী বামশিক্ষার কুফল’ বলে কটাক্ষ করেছেন তথাগত। সেই সঙ্গে তাঁর মত, আদানি, আম্বানীর মতো শিল্পপতিরা ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করেছেন বলেই আজ ধনী, অন্যরা পারেনি বলে ‘হিংসে’ করে এঁদের।
গত শনিবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে তথাগত রায় লেখেন, সরকারি শিল্প বেচে দেওয়া হচ্ছে বলে অনেকে খুব ক্ষুন্ন হয়েছেন। এই ক্ষোভ আর কিছু নয় নেহরুবাদী-বামপন্থী শিক্ষার কুফল। তিনি আরও লেখেন, কারখানা বিক্রি করে দেওয়াই উচিত কাজ। কারণ, শিল্প চালানো কোনও সরকারের কাজ নয়। এই ট্যুইটের প্রেক্ষিতে একটি কমেন্টের প্রত্যুত্তরে তথাগত এও লেখেন, আদানি ও আম্বানীদের ‘হিংসা’ করে কোনও লাভ নেই। তারপরই তাঁর আজব দাবি, এই বিশ্বে যাবতীয় সমৃদ্ধি এসেছে ‘ব্যক্তিগত মালিকানার উদ্যোগের’ মাধ্যমে।
পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ-রাহুল সিনহাদের পূর্বসূরীর দাবি, সরকার শিল্প চালাতে গিয়ে সোভিয়েত দেশ উঠে গেল!
তথাগত রায়ের এই ট্যুইট নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে বসেও বারবার রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত মতামত রাখেন তথাগত রায়। শিলংয়ের রাজভবন থেকে বারবার মমতা ব্যানার্জি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন। যা কখনও ছাড়িয়েছে শালীনতার সীমা আবার তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ারও অভিযোগ অজস্র। তথাগতের নিশানা থেকে বাদ পড়েননি প্রয়াত জ্যোতি বসু, প্রমোদ দাশগুপ্তরাও। এমনকী জয় বাংলা স্লোগানের বিরোধিতা যেমন করেছেন, তেমনই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে প্রবল ট্রোলিংয়ের মুখে ক্ষমা চাইতেও বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু থামেননি তথাগত রায়। এবার আম্বানী-আদানির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়। আর সেই বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করতে দিলেন রকমারি যুক্তি।
Comments are closed.