পাখির চোখ নন্দীগ্রাম, সুব্রত মুখার্জির নেতৃত্বে আগাম সমীক্ষা তৃণমূলের
দলনেত্রীর লিড ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়াই এখন সুব্রত মুখার্জির একমাত্র টার্গেট
এবার ভোটে সবার নজরের কেন্দ্রে নন্দীগ্রাম। কারণ এই আসন থেকেই এবার লড়তে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। তাই ভোটের আগেই নন্দীগ্রামে আগাম সমীক্ষা করবেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি।
গত ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করেন মমতা। ভিড়ে ঠাসা সেই সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী ঘোষণা করেন নির্বাচনে তিনি নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী। মমতার ঘোষণায় স্পষ্ট হয়ে যায় রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ভরকেন্দ্র হতে চলছে নন্দীগ্রাম। এর পরই জল্পনা শুরু হয় তাহলে কি নন্দীগ্রামে মমতা বনাম শুভেন্দু?
মমতার ঘোষণার পরেই নন্দীগ্রামকে বাড়তি গুরত্ব দিচ্ছে শাসকদল। ইতিমধ্যেই দলনেত্রীর নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই নন্দীগ্রামে সমীক্ষা করবে তৃণমূল। সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ নেতা সুব্রত মুখার্জিকে। সুব্রতবাবু জানান ‘আমি নন্দীগ্রামে গিয়ে প্রত্যেক বুথে বুথে যাব। বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনগণের মতামত শুনব। সেখানকার সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝব। রাজনৈতিক মহল মনে করছে ভোটের বহু আগে থেকে নন্দীগ্রামে ঘাঁটি গেড়ে দলনেত্রীর লিড ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়াই এখন বহু যুদ্ধের পোড়খাওয়া সৈনিক সুব্রত মুখার্জির একমাত্র টার্গেট।
সব মিলিয়ে ভোটের আগেই আবার সক্রিয় সুব্রত মুখার্জি। এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের মনে পড়ে যাচ্ছে ১৯৮৪ সালে কংগ্রেস প্রার্থী মমতা ব্যানার্জিকে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে জেতাতে বড়ো ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখার্জি। সেবার যুব নেত্রী মমতা হারিয়েছিলেন হেভিওয়েট সোমনাথ চ্যাটার্জিকে।
Comments are closed.