হাথরসে গণধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ ফের অন্য মাত্রায় পৌঁছল শুক্রবার। উত্তর প্রদেশের হাথরসে মৃতা মনীষা বাল্মীকির বাড়ি যাওয়ার পথে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকালো পুলিশ। ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ডেরেক ও’ব্রায়েনরা। অভিযোগ, কোভিড প্রটোকল মেনে আলাদা আলাদা করে দলিত পরিবারটির কাছে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বিনা প্ররোচনায় তাঁদের আটকায় যোগী রাজ্যের পুলিশ।
শুক্রবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মন্ডল এবং প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর দিল্লি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে হাথরাসে যাচ্ছিলেন। নির্যাতিতার বাড়ি থেকে মাত্র দেড় কিমি দূরেই আটকে দেওয়া হয় তৃণমূলের এই প্রতিনিধি দলকে।
ঘটনার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ডেরেক ও’ব্রায়েনদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা, ধস্তাধস্তি হয়েছে পুলিশের। ডেরেককে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়ার ছবিও ধরা পড়েছে। যদিও বাকি পথ তাঁরা হেঁটেই যাবেন বলে উত্তর প্রদেশ পুলিশকে জানিয়ে দেন সাংসদরা।
এক সাংসদের কথায়, আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে হাথরাসের দলিত পরিবারের দেখা করতে এবং তাঁদের সমবেদনা জানানোর জন্য যাচ্ছিলাম। সবাই স্বতন্ত্রভাবে এবং কোভিডের সমস্ত প্রোটোকল বজায় রেখেছি। কেউ সশস্ত্রও নই। তা সত্ত্বেও আমাদের কেন আটকানো হচ্ছে? ক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদদের প্রশ্ন, এ কোন ধরনের জঙ্গলরাজ, যেখানে নির্বাচিত সংসদরা একটি শোকগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেও পারবেন না।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই হাথরসে যাওয়ার পথে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর কংগ্রেসের রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর কনভয় আটকেছিল যোগী রাজ্যের পুলিশ। এমনকী রাহুলকে গলাধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় পুলিশ। রাহুল-প্রিয়ঙ্কা-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা-নেত্রীকে গ্রেফতারও করা হয়।
যোগীর বিরুদ্ধে ‘জঙ্গলরাজ’ আর মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন নীতির অভিযোগ তুলে যখন আক্রমণের ঝাঁঝ তীব্র করছে কংগ্রেস, তখনই আর এক বিরোধী দল, তৃণমূলের প্রতিনিধিদের আটকাল যোগীর পুলিশ
Comments are closed.