বাংলার বাড়ি প্রকল্পে চলতি বছরে ৮ লক্ষ ৩০ হাজার বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা রাজ্যের

২০১৯-২০ আর্থিক বছরে রাজ্যের গরিব মানুষদের জন্য ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ৮ লক্ষ ৩০ হাজার বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বাড়িগুলি তৈরি করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। এছাড়া ‘মিশন নির্মল শৌচাগার’ প্রকল্পের আওতায় জেলায় জেলায় গরিব গৃহস্থের বাড়িতে শৌচাগার তৈরিতে আর্থিক সহায়তা করবে তৃণমূল সরকার।
গত আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে রাজ্যে ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার বাড়ি তৈরি করা হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের দাবি। সেই সংখ্যাকে ছাপিয়ে, এই আর্থিক বছরে প্রায় আড়াই লক্ষ বেশি বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য।
সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া লক্ষ্য হলেও, আটটি জেলাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই জেলাগুলি হল, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব বর্ধমান। এর মধ্যে ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহলের গরিব পরিবার প্রতি ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। অন্য জেলার গরিব মানুষরা পাবেন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে। শীঘ্রই ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপকদের জেলাওয়াড়ি তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা শাসকদের। এছাড়া, উপভোক্তাদের তরফে যাতে কোনও অভিযোগ না ওঠে, তা খেয়াল রাখতে ১৫ দিন অন্তর প্রকল্পের কাজ পর্যালোচনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরকে। গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি, রাজ্যের ১০০ টির বেশি পুরসভাতেও এই ধরনের বাড়ি বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, শহরাঞ্চলে এক একটি বাড়ি বাবদ ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা করে সাহায্য করবে সরকার।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অন্তর্গত এই প্রকল্পে কেন্দ্রের লোগো ব্যবহার করতে অস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, যেহেতু কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই পক্ষই প্রায় সমান অংশ টাকা খরচ করে, তাহলে কেন শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের লোগোতেই এই প্রকল্পের প্রচার হবে? তাই রাজ্যের ঠিক করে দেওয়া এই বাড়ি তৈরির প্রকল্পের নামকরণ হয়েছে ‘বাংলার বাড়ি’। ২৫ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে এই বাড়িগুলিতে থাকবে একটি ঘর, রান্না ঘর, বারান্দা ও একটি শৌচাগার। রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের যে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সেটি হল, সরকারি অনুদানের পাশাপাশি, নিজের কিছু টাকা যোগ করেও বাড়িকে আরও সুন্দরভাবে তৈরি করে নিতে পারবেন সুবিধাপ্রাপকরা।

Comments are closed.