নতুন ত্রাস ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা কেন্দ্রের, জানেন কী এই রোগ? কী তার উপসর্গ?

ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলা হয় মিউকরমাইকোসিস

দেশে বেলাগাম করোনা। কিন্তু কোভিড সংক্রমণকে আয়ত্তে আনার জন্য নেই পর্যাপ্ত টিকা। এই দূর্যোগের মধ্য নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলা হয় মিউকরমাইকোসিস।

মহারাষ্ট্র, গুজরাট সহ দেশে একাধিক রাজ্যে এই সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দফতর অনুযায়ী, এই রোগে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯০ জনের। এবং বর্তমানে সংক্রমণের সংখ্যা ১৫০০ এর বেশি। বাংলাতেও রয়েছে ব্লাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত ৫ রোগী।
বৃহস্পতিবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে তেলঙ্গানা সরকার।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ করোনা রোগীদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে। শোনা যাচ্ছে এই ফাঙ্গাস দুর্বল শরীরে বাসা বাঁধছে। মানুষের শরীরে ব্লাক ফাঙ্গাস ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর চিকিৎসা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

 

কিন্তু এই ব্লাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস কী?

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমায়কোসিস একটি ছত্রাক ঘটিত রোগ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, করোনায় সংক্রমিত রোগীদের শরীরে এই ফাঙ্গাস বাসা বাঁধছে। যে সব রোগীকে দীর্ঘদিন ICU তে রেখে চিকিৎসা করানো হয়েছে এবং যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের শরীরের এই জাতীয় সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে।

উপসর্গ কী?

শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ঘটলে, প্রথম উপসর্গ হল চোখের ব্যথা এবং চোখের চারদিকে ফোলাভাব। যার ফলে চোখের দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হতে পারে। এছাড়াও এই ফাঙ্গাস শরীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে নাক থেকে অস্বাভাবিক কালো রঙের রক্ত ঝরবে।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মুখ খুলতে সমস্যা হওয়া বা চিবিয়ে খেতে গেলে অসুবিধা হওয়াও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হওয়ার লক্ষণ।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ নিয়ে AIIMS এর তরফে নয়া একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ডায়াবেটিক রোগীদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।

AIIMS এর তরফে প্রকাশিত গাইডলাইনে বলা হয়েছে, শরীরে এধরনের লক্ষ্মণ দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে।

Comments are closed.