Budget 2020: আটা, ভোজ্য তেল, ঠান্ডা পানীয়, জুতো, মোবাইল, ৫-২০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি বহু ভোগ্যপণ্যের! দেখুন কোন জিনিসের কত দাম বৃদ্ধি

চলতি বছরে বাজেট পেশের পর একাধিক ভোগ্যপণ্য বা কনজিউমার্স প্রোডাক্টের দাম বেড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাজেটে কাস্টমস ডিউটি বাড়ানোর পর গায়ে মাখা সাবান থেকে ব্র্যান্ডেড জুতো, স্মার্টফোন থেকে আটা, ভোজ্য তেল, চিনির এবং এফএমসিজি প্রোডাক্টের দাম বাড়ছে। দেখে নিন কোন পণ্যের কেমন দাম বাড়ল।
ভোজ্য তেল, আটা ইত্যাদি
আটা, ভোজ্য তেল এবং চিনির দাম গত তিন মাসে ১০ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশের সময় ঘোষণা করেন, আমদানিকৃত বিভিন্ন জিনিসের উপর শুল্ক বাড়ছে। যার মধ্যে রয়েছে মাখন, চিজ, সাবান ইত্যাদি।
এছাড়া গৃহস্থের অন্যান্য দরকারি যে সব জিনিসের দাম বেড়েছে তার মধ্যে রয়েছে ফ্যান, ফুড গ্রাইন্ডার, ইস্ত্রি, রুম হিটার, চা ও কফি তৈরির মেশিন, কিচেন ওয়্যার, হেয়ার ড্রায়ার ইত্যাদি। ইতিমধ্যে গোদরেজ কনজিউমার্স প্রোডাক্টের মধ্যে সাবানের দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ। এ ছাড়া পেপসিকোর মতো সংস্থার হালকা পানীয়ের দামও বেড়েছে। যে ৭৫০ মিলিলিটার ঠান্ডা পানীয়ের দাম ছিল ৩৮ টাকা, তা বিভিন্ন জায়গায় ৪০ টাকায় বিকোচ্ছে এখন। ১.২৫ লিটারের সফট ড্রিঙ্কের বোতলের দাম ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এই প্রসঙ্গে পেপসিকো ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানান, কাস্টমস ডিউটি বাড়ার পর বিভিন্ন প্রোডাক্টের দাম বাড়ানো হয়েছে। অঞ্চল ভেদে এক এক রকম দাম নেওয়া হচ্ছে।
এফএমসিজি প্রোডাক্ট
ফার্স্ট মুভিং কনজিউমার্স গুডের মধ্যে ঠান্ডা পানীয় ছাড়াও পার্লে, নেসলের মতো কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে। নেসলের চেয়ারম্যান সুরেশ নারায়ণনের কথায়, গত তিন মাসে আটা, ভোজ্য তেল, চিনির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ। একই মত পার্লে সংস্থার মার্কেটিং হেড ময়াঙ্ক শাহেরও। তাঁর কথায়, যদি এই মুদ্রাস্ফীতির ট্রেন্ড চলতে থাকে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে আরও দাম বাড়বে।
স্মার্টফোন
সোমবারই অ্যাপল সংস্থা ভারতীয় বাজারে আইফোন ১১ প্রো, আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স এবং আইফোন ৮ মডেলের দাম ৬০০ থেকে ১,৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির এক এগজিকিউটিভ অফিসারের কথায়, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির ফলে স্মার্টফোনের এই মূল্যবৃদ্ধি। এছাড়া ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যের মধ্যে এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, রেফ্রিজারেটরের দাম এই মাস থেকে ৩ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ছে। শুল্ক ছাড়া চিনের করোনাভাইরাসের থাবাও এই মূল্যবৃদ্ধির একটা বড় কারণ বলে জানাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।
ব্র্যান্ডেড জুতো
উডল্যান্ড, অ্যাডিডাস, অ্যাসিক্সের মতো বিদেশি জুতোর দাম আপাতত কয়েক মাস বাড়ছে না। কিছুদিন আগেই শুল্ক সংক্রান্ত কারণে এইসব বিদেশি ব্র্যান্ডের জুতোর দাম বেড়েছিল। তাই আপাতত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই দামই ধরে রাখছে তারা। তবে তার পরে দাম বাড়বে। অ্যাডিডাসের তরফে জানানো হয়, গত জুন মাসেই তাদের স্মল রেঞ্জের প্রোডাক্টের দাম ৫ থেকে ৬ শতাংশ বেড়েছে। শুল্ক বৃদ্ধির কারণে জাপানি জুতো সংস্থা অ্যাসিক্সও জুনেই ৫ থেকে ১০ শতাংশ দাম বাড়িয়েছে জুতোর। তবে স্পোর্টসওয়্যার ব্র্যান্ড পিউমা ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, এপ্রিল মাস থেকে তাদের বিভিন্ন জিনিসের দাম ১০ শতাংশ বাড়বে।

Comments are closed.