বঙ্গ রাজনীতিতে র‍্যাপের ছোঁয়া, ‘খেলা হবে’ স্লোগানে কীসের বার্তা? কী বলেন স্রষ্টা?

আর ক’দিন পরেই একুশের বিধানসভা ভোট, আর ভোটমুখী বাংলা সরগরম রাজনৈতিক দলগুলির স্লোগানে। কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে, চাই না চাই না বিজেপিকে চাই না, জয় শ্রীরাম ইত্যাদি স্লোগান অহরহ শুনছে বাংলা। তবে সব স্লোগানকে ১০ গোল দিচ্ছে ‘খেলা হবে’। ভোট যুদ্ধে ‘খেলা হবে’কে হাতিয়ার করেছে সব দলই।  

তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য মঙ্গলবার একটি ট্যুইট করে দাবি করেন এই স্লোগানটি তাঁরই। দেবাংশু কি বলছেন খেলা হবে নিয়ে? 

প্রশ্ন: ‘খেলা হবে’ কী ভেবে লিখলেন? 

উত্তর: মমতা ব্যানার্জি একবার একটি সভা থেকে বলেছিলেন, ‘এস বন্ধু খেলতে চাও, আমরা খেলবো’। প্রথম মমতা ব্যানার্জির কাছে এটি  শোনা। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতা রয়েছে, সেখান থেকে ইন্সপায়ার হয়ে লেখা। নর্থ বেঙ্গলে শুট করা। 

প্রশ্ন: খেলা হবে স্লোগান অনুব্রতর মুখে বিখ্যাত, আপনি এর সৃষ্টিকর্তা হওয়ার দাবি করেন কীভাবে? 

উত্তর: অনুব্রত দার মুখে আমার লেখা স্লোগান বিখ্যাত হয়েছে শুনে ভালো লাগল।    

প্রশ্ন: দিলীপ ঘোষ বলছেন তৃণমূলের সব ডিফেন্ডার স্ট্রাইকার আমাদের দলে,খেলা তো দেখাব আমরা। কী বলবেন? 

উত্তর: বিজেপির তো সবকিছুই চুরি করা, কপি করা অভ্যেস। মমতা ব্যানার্জির কন্যাশ্রী কপি করে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও করল। নির্মল বাংলা কপি করে স্বচ্ছ ভারত করল। সবই কপি করছে, শ্লোগানটাই বা ছাড়ে কেন? কিন্তু বাংলার মানুষ বুঝে গেছে খেলা দেখাবে তৃণমূলই।  

প্রশ্ন: আজকে বাম ছাত্র-যুবর মিছিলেও ‘খেলা হবে’ স্লোগান শোনা গেছে …

উত্তর: সিপিএম ৩৪ বছর ধরে চুরি করেছে, সেই অভ্যেস তো যাবে না। তাই  ওদের  ছাত্র যুব নেতারা চান্স পেয়েই স্লোগান চুরি করেছে। আসল খেলাটা ২০২১ এ  হবে, যে খেলায়  সিপিএম গ্যালারিতে।  

প্রশ্ন: কী খেলার ইঙ্গিত করছেন? অনুব্রত মণ্ডল বলছেন ভয়ঙ্কর খেলা হবে। কী বলবেন ? 

উত্তর:খেলা হবে স্লোগানের একটা স্পষ্ট অর্থ হচ্ছে, বিজেপি নিজের বল, নিজের ব্যাট, ওদের পছন্দের আম্পেয়ার নিয়ে মাঠে নামবে। গ্যালারিত ভরা দর্শক, ওদের ১১ জন প্লেয়ার যার মধ্যে আবার কিছু ধার করা। আর আমাদের একটাই প্লেয়ার খালি হাতে ময়দানে থাকবে, তাঁর নাম মমতা ব্যানার্জি। ওই জন্যই বলছি খেলা হবে।  

প্রশ্ন: জল্পনা শোনা যাচ্ছে একুশের ভোটে বালি বিধান সভা থেকে প্রার্থী হতে পারেন। কী বলবেন? 

উত্তর: ভোট দাঁড়ানো না দাঁড়ানো এসব চিন্তা ভাবনার মধ্যেই নেই। প্রথম এবং শেষ লক্ষ মমতা ব্যানার্জিকে তৃতীয় বারের জন্য নবান্ন পৌঁছে দেওয়া। আর তার জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করতে হবে। দল যে দায়িত্ব দেবে মাথা পেতে নেব। মুখপাত্রের দায়িত্ব দিয়েছে, আশাকরি তাতে সফল। আগামী দিনে যদি পার্টি অফিস ঝাঁট দেওয়ারও দায়িত্ব দেয়, মন দিয়ে করবো।

                                       

Comments are closed.