তিলোত্তমার মাথায় সেরার মুকুট, বিশ্বসেরা তকমা পেল কলকাতার ‘ফাইন্টেন অফ জয়’

ফের একবার বিশ্বসেরা তিলোত্তমা। বিশ্বের সেরা ২৬ টি ফাউন্টেনের মধ্যে সেরা হল কলকাতার ‘ফাউন্টেন অফ জয়’।ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের উল্টো দিকেই ‘ফাউন্টেন অফ জয়’। একটি পপুলার গ্লোবাল ট্রাভেল পোর্টাল এমনই তথ্য দিয়েছে।

‘ফাউন্টেন অফ জয়’ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আছে। প্রথম স্থানে আছে মাইসোরের বৃন্দাবন গার্ডেন্সের ফাউন্টেন। এর আগে গ্লোবাল ট্রাভেল পোর্টালে শুধুমাত্র নাম ছিল বৃন্দাবন গার্ডেন্সের ফাউন্টেনের। গ্লোবাল ট্রাভেল পোর্টালে নাম রয়েছে রোমের ১৭৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত আইকনিক ট্রেভি ফাউন্টেন, ফ্রান্সের ভার্সেইল প্যালেসের ল্যাটোনা ফাউন্টেন,সুইজারল্যান্ডের জেনেভার জেট ডি ইউ ফাউন্টেন, আমেরিকার লাসভেগাসের বেললাজিও।

কলকাতার এই ডান্সিং ফাউন্টেনের দেখাশোনা করে সিইএসই। সিইএসইর এক আধিকারিকের কথায়, এটা গর্বের বিষয়। কলকাতা শহরকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরল ‘ফাউন্টেন অফ জয়’। ১৯৯১ সালে কলকাতার ময়দান এলাকায় বানানো হয়েছিল ‘ফাউন্টেন অফ জয়’। তখন শহরে খুব পাওয়ার কত হত। সেইসময় গোয়েনকা গ্রূপের চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ গোয়েনকার উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল ফাউন্টেন অফ জয়।
তৎকালীন মুখ্যমন্ত্ৰী জ্যোতি বসু এটির উদ্বোধন করেছিলেন। টুরিস্টদের পক্ষে ফাউন্টেন অফ জয়কে মনোরম করে তোলা হলেও এখন এখানে সমাজবিরোধিদের আখড়া হয়েছে। পরিবারের লোক নিয়ে এখানে যেতে কেউ সাহস পায়না।

এরপর মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী বয়ে আসার পর পর কলকাতাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেন। শহরে নানা রকম আলো লাগানো হয়। ২০১২ সালে ফাউন্টেন অফ জয়কে নতুন করে সাজিয়ে তোলে সিইএসসি। ফাউন্টেনের মধ্যে আলো, জল ও শব্দের কোরিওগ্রাফি করা হয়। ২৬টি আলাদা পাম্পের সাহায্যে জল আসে ফাউন্টেনে। প্রতি মিনিটে ১৫ হাজার ৮০০ লিটার জল বেরোয় এই ফোয়ারা থেকে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত লাইট অ্যান্ড সাউন্ড হয় এই ফাউন্টেনে।

Comments are closed.