কমলনাথ ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে আয়কর হানায় উদ্ধার ২৮১ কোটি! বিজেপি নেতার ট্যুইট ঘিরে বিতর্ক

কংগ্রেসের কমল-বিড়ম্বনা। প্রথম দফা নির্বাচনের ঠিক তিন দিন আগে মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ২৮১ কোটি টাকার হদিশ পেল আয়কর দফতর। দু’দিন আগেই মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের ঘনিষ্ঠ ও আত্মীয়দের বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় ৯ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। এবার হিসাব বহির্ভূত প্রায় ২৮১ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস বা সিবিডিটি। শুধু তাই নয়, এই টাকা থেকে আনুমানিক ২০ কোটি টাকা দিল্লির একটি রাজনৈতিক দলের সদর দফতরেও পাঠানো হয় বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার রাতে সিবিডিটি-র তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মোট চার রাজ্যের ৫২ টি জায়গায় আয়কর বিভাগের ৩০০ জন অফিসার অভিযান চালিয়ে নগদ ১৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার সন্ধান পান। এছাড়া ২৫২ বোতল মদ, আগ্নেয়াস্ত্র এবং বাঘের চামড়া উদ্ধার হয়েছে। সিবিডিটির বিবৃতিতে কোনও রাজনৈতিক নেতার নাম নিয়ে বলা হয়, যে ২৮১ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে, তার মধ্যে ২০ কোটি টাকা দিল্লির তুঘলক রোডের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাড়ি থেকে হাওলার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের আরও দাবি, একটি ক্যাশ বই পাওয়া গিয়েছে, যেখানে ২৩০ কোটি টাকা বিভিন্ন বেনামি কোম্পানিকে দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও দিল্লির কয়েকটি এলাকায় বেশ কয়েকটি বেনামি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে সিবিডিটি।
অন্যদিকে, সিবিডিটির বিবৃতির আগেই সোমবার সকালে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র একটি ট্যুইটকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে বিতর্ক তৈরি করেছে। সোমবার সকাল ১০ টা ৫৩ মিনিটে একটি ট্যুইটে কৈলাশ বিজয়বর্গী লেখেন, ‘মধ্য প্রদেশে ট্রান্সফার এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত। কোনও মৃত্যুর খবর নেই, তবে প্রায় ২৮১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।‘
এই ট্যুইটের প্রেক্ষিতে কমলনাথ সহ কংগ্রেসের নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, আয়কর বিভাগের বিবৃতির আগেই কীভাবে তা জেনে গেলেন বিজেপি নেতা? তাঁরা বিজেপি ও আয়কর বিভাগের মধ্যে গোপন আঁতাতের অভিযোগ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর নরেন্দ্র সালুজার দাবি, ভোটের মুখে কংগ্রেস নেতাদের ভাবমূর্তি খারাপ করতে চক্রান্ত করা হচ্ছে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার কথায়, ‘বিজেপির হয়ে ৪ জন নির্বাচনী প্রচার করছে – নরেন্দ্র মোদীজি, অমিত শাহজি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটজি ও সিবিআইজি।’ ভোটে পরাজয়ের নিশ্চিত জেনে এমন ভুয়ো অভিযান করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সম্মানহানির চেষ্টা করছে বিজেপি, অভিযোগ সুরজেওয়ালার। ভোটের মুখে আয়কর হানার মাধ্যমে কংগ্রেসের ভাবমূর্তি খারাপ করে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই অভিযোগে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিবিডিটি চেয়ারম্যান ও রাজস্ব সচিবকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

Comments are closed.