মনীষার সঙ্গে ব্রেক আপের পর আবার স্ত্রীর কাছে ফেরেন নানা পাটেকর, এখনও কি আছে তাঁদের সম্পর্ক

বলিউডের রিল লাইফের মতো রিয়েল লাইফেও এক সময় ঝড় তুলেছিল নানা পাটেকর ও মনীষা কৈরালার প্রেমকাহিনি।

প্রচলিত ধারণায় বলিউডের তথাকথিত হিরোদের মতো হ্যান্ডসাম না হলেও, নয়ের দশকে তাঁর অভিনয়, ম্যানারিজম দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন নানা পাটেকর। অন্যদিকে, ‘১৯৪৭ লাভ স্টোরি’র নায়িকা মনীষার সৌন্দর্যে মুগ্ধ আসমুদ্র হিমাচল। দর্শক মনে পাকা আসন তৈরি করা এমন দুই অভিনেতার প্রেম, সম্পর্ক এবং বিচ্ছেদ একসময় সিনেপ্রেমীদের কাছে ছিল প্রচণ্ড কৌতূহলের। কীভাবে পরস্পরের কাছে এসেছিলেন নানা-মনীষা? কেনই বা ভাঙল তাঁদের প্রেম?

সালটা ১৯৯৬। ‘খামোশি’ সিনেমায় মনীষার বিপরীতে অভিনয় করছেন সলমন খান। মনীষার বাবার ভূমিকায় নানা। এই ফিল্মের সেট থেকে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে নানা ও মনীষার। তবে শোনা যায়, তার আগে ওই ১৯৯৬ সালেই অগ্নিসাক্ষী সিনেমার শুটিং চলাকালীন নানার প্রেমে হাবুডুবু খান মনীষা। এর আগে অবশ্য মনীষার জীবনে ছিলেন বিবেক মুশরান। কিন্তু সেই নায়কের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরার পরে নানাই তাঁর জীবনে শেষ কথা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ইতিউতি ডেটিংয়ের পাশাপাশি হিরোইনের বাড়িতেও নাকি প্রায়শই দেখা যেত নানাকে। যা শুনে একটি সাক্ষাৎকারে নানা বলে দেন, ‘মনীষাও আমার মা এবং ছেলের সঙ্গে সময় কাটায়। মনীষাকে বেশ পছন্দও করে ওঁরা।’

কিন্তু তাও এই প্রেম টেকেনি। নানার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল ১৯৭৮ সালে। স্ত্রী ও সন্তানকে ছেড়ে মনীষাকে বিয়ে করতে চাননি তিনি। আবার মনীষা ও নানা একে অন্যকে নিয়ে ভীষণ পোজেসিভ ছিলেন। স্বল্পবাস নয়, পর্দায় অন্যান্য হিরোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া চলবে না। মনীষাকে নাকি হাজারও বিধিনিষেধের ঘেরাটোপে বেঁধে ফেলেছিলেন নানা।

তা সত্ত্বেও নানা-মনীষার সম্পর্কে চিড় ধরেনি সে সময়। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কের মাঝে এসে পড়েন আর এক নামজাদা অভিনেত্রী আয়েষা জুলকা। এবং সেখানেই ইতি হয় নানা-মনীষার সম্পর্কের। তারপরে মনীষা ডেটিং করতে শুরু করেছিলেন বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। অন্য দিকে, আয়েশা জুলকার সঙ্গেই লিভ-ইন করতে থাকেন নানা।

যদিও মনীষাকে নিয়ে তাঁর অনুভূতি লুকোননি নানা। একটি সাক্ষাৎকারে মনীষাকে তিনি বলেছিলেন, ‘এখানকার সময়ের সবচেয়ে সেনসিটিভ অভিনেত্রী মনীষা। ওকে কারও সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে না। ওর সব রয়েছে এবং সেটাই যথেষ্ট।’

তবে ব্রেক আপ নিয়ে নানার মতো স্পষ্ট ভাবে মুখ খোলেননি মনীষা। ২০১০ সালে ব্যবসায়ী সম্রাট দহালকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এই বিয়ের মেয়াদ ছিল মাত্র দু’বছর। অন্যদিকে নানাও আয়েষার সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘটিয়ে স্ত্রী নীলকান্তির কাছে ফিরে যান।

Comments are closed.