সনাতনী রীতিতে চার হাত এক হল টলিপাড়ার লাভবার্ড নীল-তৃনার

এ এক দীর্ঘ সময়ে অবসান... বিয়ের মুহূর্তে তা নীল-তৃনার চোখে-মুখে স্পষ্ট হয়ে উঠছিল।

প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম… অবশেষে সেই প্রেমেরই জয় হল ছাদনা তলায়। পরিণতি পেল নীল-তৃণার প্রেম। বৃহস্পতিবার তপসিয়ার অর্কিড গার্ডেন সম্পন্ন হয় তাঁদের বিবাহ অনুষ্ঠান। বাঙালির সনাতন রীতিতেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন নীল-তৃণা। টলিপাড়ার এই লাভবার্ডের বিয়ের অনুষ্ঠান হল ফিল্মি স্টাইলে।

বিয়ের আসরে বর এসে পৌঁছল হুডখোলা গাড়িতে। গানের সঙ্গে নাচতে নাচতে বিয়েতে পৌঁছন নীল এবং বরযাত্রীরা। অভিনেতা জামাইকে বরণ করেন তৃণা সাহার মা। এরপর নৌকা করে বিয়ের আসরে যান বর স্বয়ং।

এ এক দীর্ঘ সময়ে অবসান… বিয়ের মুহূর্তে তা নীল-তৃনার চোখে-মুখে স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। শুভদৃষ্টির মুহূর্তে নববধূর মত লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিল তৃণার মুখ। মাল্যদানের মুহূর্তে চলে বন্ধুদের সেই রসিকতা। কার পিঁড়ি কত উঁচুতে উঠানো যেতে পারে। বরপক্ষ কনেপক্ষ সে ক্ষেত্রে কেউই কম যায়নি। তাঁদের বিয়ের সব মুহূর্তই ক্যামেরা বন্ধী হয়েছে।

নীল-তৃণার বিয়েতে আসর জমাতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজির ছিল টলিপাড়ার বহু তারকা। পরিচালক সৃজিত এবং তার স্ত্রী মিথিলা থেকে শুরু করে “খরকুটো” ধারাবাহিকের পরিবার।

সম্পর্কের সূত্রপাত ২০১১… এরপর একে একে পেরিয়েছে বছর, সঙ্গে সম্পর্কও মোড় নিয়েছে বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসায়। টানা ১০ বছর একে অপরের সাহারা হয়ে থেকেছে নীল-তৃণা। অবশেষে সিদ্ধান্তে এলো বন্ধুত্ব-ভালোবাসা পূর্ণতা দেওয়ার। এখান থেকেই নীল-তৃনার নতুন পথ শুরু হল।

Comments are closed.