সীমান্ত দ্বন্দ্বের মধ্যেই আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চায়নার

ভারত-চিন দ্বৈরথের আবহে তীব্র হচ্ছে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক। চিনা পণ্য আমদানিতে রেশ টানা হয়েছে, চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যেই খবর পাওয়া গেল, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে বিপুল বিনিয়োগ করছে পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চায়না।

চলতি বছরের শুরুতে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে চিনা সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের বিনিয়োগ ঘিরে তীব্র বিতর্ক হয়েছিল। এবার চিনের আরও একটি ব্যাঙ্ক বিনিয়োগ করল ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে। বিজনেস টুডে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আইসিসিআই ব্যাঙ্কের লক্ষ্য ১৫ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহ। ভারতীয় ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ করতে অনেকেই আগ্রহী। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চায়না। তারা ইতিমধ্যেই ১৫ কোটি টাকার একটি চেক ইস্যু করেছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চায়না হল ৩৫৭ টি প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর মধ্যে অন্যতম। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার, মরগান ইনভেস্টমেন্ট, সোসিয়েট জেনারেলি ইত্যাদি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ভারতের মতো দেশে বিনিয়োগ করতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে চিনা ব্যাঙ্ক। এদিকে ভারত-চিন দ্বৈরথের জেরে চিনা ব্যাঙ্কের বিনিয়োগ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বিনিয়োগের ফলে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে চিনা ব্যাঙ্কের অংশীদারিত্ব ১ শতাংশের বেশি হয়ে গেল। ভারতে যখন চিন বয়কটের ডাক তীব্র হচ্ছে, খোদ কেন্দ্রীয় সরকার যখন বিদেশি বিনিয়োগ আইন কড়াকড়ি করছে, সেই সময় পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চায়নার বিনিয়োগ ঘিরে বিতর্ক কার্যত অবধারিত ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে ভারতে চিনা বিনিয়োগে কোনও আনুষ্ঠানিক বাধা না থাকলেও দু’দেশের সম্পর্কের অবনতির মধ্যে এই বিনিয়োগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিনের সীমান্ত সংঘর্ষ এবং তার প্রেক্ষিতে টিকটক, শেয়ারইট সহ ৫৯ টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ভারত। এখন কেন্দ্রের তরফে সমস্ত চিনা বিনিয়োগ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সেই সময়েই আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ করল চিনা ব্যাঙ্ক। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এও বলছেন, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে চিনা ব্যাঙ্কের এই বিনিয়োগ নিয়ে তেমন কোনও আশঙ্কা নেই। কারণ ব্যাঙ্কিং হল অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত ব্যবসা। কোনও একক বিনিয়োগকারীকে ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ার দেওয়ার নিয়ম নেই। ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার অধিগ্রহণের জন্য আরবিআইয়ের অনুমোদন প্রয়োজন।

Comments are closed.